Adsterra

উপমহাদেশে ভাষা আন্দোলনের পথপরিক্রমা


উপমহাদেশে ভাষা আন্দোলনের পথপরিক্রমা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, ভাষার সংগ্রাম সব ধরনের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এমন একটি প্রতীক, Today Trending News

১৭৮৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উইলিয়াম জোনস কলকাতা রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির ‘থার্ড অ্যানিভার্সারি ডিসকোর্সে’ গ্রিক, লাতিনের সঙ্গে জার্মানির গথিক এবং পারস্যের প্রাচীন পারসিকের ও সংস্কৃতের আত্মীয়তার সম্পর্ক আবিষ্কার করার তত্ত্ব প্রকাশের পরই জন্ম হয় তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের।


জার্মানরা ভারত থেকে জার্মানি পর্যন্ত যে ভাষাপরিবার-তার নাম দেয় ইন্দো-জার্মান ভাষাপরিবার। এক প্রান্তে ভারত, অপর প্রান্তে জার্মানি-এ দুই প্রান্তকে বেঁধে দেয় আর্য জাতীয়তাবাদী সেতু। ১৮০৩-১৮১৫ সালে নেপোলিয়নের যুদ্ধে ফ্রান্সের পরাজয়ের পর গ্রেট ব্রিটেন সেরা শক্তিতে পরিণত হয়, প্রসার ঘটে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের। প্যাক্স ব্রিটানিকার যুগে (১৮১৫-১৯১৫) এ তত্ত্ব স্পর্শ করে সর্বোচ্চ শিখর-এ সময়টাই তুলনামূলক ব্যাকরণের সূচনা ও বিকাশের কাল।


কলকাতায় জন্ম হয় ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের তত্ত্ব আর অ-ইন্দোইউরোপীয় দ্রাবিড় ভাষাপরিবার নিয়ে গবেষণার সূত্রপাত হয় মাদ্রাজে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার জয়জয়কারের যুগে এ ধারার সূচনা করেন স্কটিশ মিশনারি রবার্ট কল্ডওয়েল। কল্ডওয়েল (১৮১৪-১৮৯১) মাদ্রাজে অবস্থানকালে ১৮৫৬ সালে রচনা করেন Comparative Grammar of the Dravidian Languages. ১৮৫৩ সালে স্কটিস হোমরুল আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তিনি এ গ্রন্থ রচনা করেন।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ এ শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন বই "মানুষ" অনলাইনে অর্ডার করতে কল করুন 01745676929 নাম্বারে

স্কটিস হোমরুল আন্দোলনের সূচনা হয় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসাবে আর ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবার থেকে মুক্তির লড়াইয়ের অংশ হিসাবে রচিত হয় এ গ্রন্থ। হোমরুল আন্দোলনকে বলা যায় সাম্রাজ্যবাদ থেকে মুক্তির লড়াই আর দ্রাবিড়ীয় ভাষাপরিবারের ওপর গবেষণাকে বলা যায় ভাষা সাম্রাজ্যবাদ থেকে মুক্তির লড়াই।


আয়ারল্যান্ডে হোমরুল আন্দোলন চলে ১৮৭০-১৯১৪ সাল পর্যন্ত। আইরিশ এ আন্দোলন কতটা প্রভাব ফেলে তার প্রমাণ হলো : ভারতে তারই অনুকরণে হোমরুল আন্দোলন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৬-১৯১৮ কালে-অ্যানি বেসান্ত ও বাল গঙ্গাধর তিলকের নেতৃত্বে। আইরিশ বংশোদ্ভূত বেসান্ত (১৮৪৭-১৯৩৩) একই সঙ্গে আইরিশ ও ভারতের স্বায়ত্তশাসনে বিশ্বাসী ছিলেন।


তার কর্মক্ষেত্রও ছিল মাদ্রাজে। ১৯০৭ সালে ব্রহ্মজ্ঞানী সমাজের সভাপতি হন অ্যানি বেসান্ত, তখন তার আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর ছিল মাদ্রাজের আদিয়ারে। ভারতে গণতন্ত্রের প্রচার এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভেতরেই ভারতের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে হোমরুল লীগ প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন চালিকাশক্তি। হোমরুল আন্দোলনের ভেতরই লুকিয়ে থাকে ভাষার স্বায়ত্তশাসন ও ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠনের পরিকল্পনা।


লোকমান্য তিলক ১৯১৭ সালের কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের দাবি তোলেন। এ সময় অ্যানি জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২০ সালে নাগপুর অধিবেশনে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হয়। ১৯২১ সালে কংগ্রেসের আঞ্চলিক শাখা গঠিত হয় ভাষাভিত্তিক বিবেচনায়। সাইমন কমিশন ভারতে আসার পর ভারতের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রের রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়। ১৯২৮ সালে নেহেরু রিপোর্টে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয় তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তি ছিল ভাষার ভিত্তিতে প্রদেশগুলোর সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবি।


স্বায়ত্তশাসনের কালে এ দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করে ভারত ও শ্রীলংকার তামিলরা। মাদ্রাজে রাজা গোপালাচারীয়া ভাষা আইন প্রণয়ন করার পর ৭০% তামিল ভাষাভাষী তামিলনাড়ুতে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৩৭-১৯৩৯ কালব্যাপী হিন্দিবিরোধী আন্দোলন চলে, যত দিন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইরেজদের অংশগ্রহণের ডামাডোল বেজে ওঠে। ১৯৪৫-১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ভাষাভিত্তিক রাজ্য পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়।


১৯৪৭-১৯৪৯ কালে ভাইস রিগাল ব্যবস্থার অধীনে মাউন্টব্যাটেনের (১৫ আগস্ট ১৯৪৭-২১ জুন ১৯৪৮) পর গভর্নর জেনারেল হলেন চক্রবর্তী গোপালাচারী (২১ জুন ১৯৪৮-২৬ জানুয়ারি ১৯৫০)। স্বায়ত্তশাসনের কালে তিনি ছিলেন মাদ্রাজের মুখ্যমন্ত্রী, স্বাধীনতা লাভের পর হলেন কেন্দ্রীয় সরকারের গভর্নর জেনারেল। তার শাসনামলে ১৯৪৮ সালে সরকার রাজ্য গঠনের জন্য দুটি কমিশন গঠন করে। তার একটি লিঙ্গুইস্টিক প্রভিন্সেস কমিশন এবং অন্যটি জওহরলাল-বল্লভভাই-পট্টভি সীতারামাইয়া বা জেভিপি কমিশন।


অতীতের শিক্ষার আলোকে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠন করা যায় কিনা-তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময়ই ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে বাংলাভাষাকে পূর্ব বাংলার সরকারি ও শিক্ষার ভাষা এবং উর্দুর পাশাপাশি পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলন চলে গভর্নর জেনারেল মুহম্মদ আলী জিন্নাহর (১৪ আগস্ট ১৯৪৭-১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮) কাল পেরিয়ে গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমউদদিনের কাল পর্যন্ত (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮-১৭ অক্টোবর ১৯৫১)।


তখন ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ১৯৫০ সালের সংবিধানে ভারতকে চারটি শ্রেণিতে ২৮টি রাজ্য এবং ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। তার মধ্যে ৯টি রাজ্যপালশাসিত, ৯টি দেশীয় রাজ্য, ১০টি চিফ কমিশনার শাসিত প্রদেশ এবং ১টি কেন্দ্রশাসিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এ রকম বিভাজনের পর ১৯৫১-১৯৫৩ কালে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠনের দাবি উঠতে থাকে।


১৯৫২ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় জওহরলাল মাদ্রাজ প্রদেশে নির্বাচনি প্রচারণায় এলে কালো পতাকা প্রদর্শন করে অন্ধ্রের দাবি উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে তেলেগু ভাষার ভিত্তিতে আলাদা পূর্ণাঙ্গ রাজ্য গঠনের দাবি করেন পট্টি শ্রীরামালু। ২৮টি রাজ্যের মধ্যে রাজ্যপালশাসিত রাজ্যের তালিকায় বোম্বে, পাঞ্জাব ও মাদ্রাজ ছিল বহুভাষী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। বিদ্রোহের ক্ষেত্রে অগ্রপথিক হয়ে ওঠে মাদ্রাজের তেলেগুভাষীরা। মাদ্রাজ ছিল তামিল ও তেলেগু ভাষাভাষী অধ্যুষিত রাজ্য। মাদ্রাজে তামিলরা ছিল অগ্রসর এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তেলেগুভাষীদের ওপর প্রবল।


একই সময়ে সিলনে যেমন আধিপত্যবাদী ছিল সিংহলিদের ওপর উত্তরাঞ্চলীয় তামিলরা। ভারতে ও শ্রীলংকায় তামিল ভাষার এত জয়জয়কার হয় যে, ১৯৪৬ সালে ফরাসি ভাষাতাত্ত্বিক জুল ব্লক প্রকাশ করেন দ্রাবিড় ভাষার ওপর তার বিখ্যাত গবেষণা 'Structure grammaticale langues dravidiennes'. এ জয়জয়কারের ডামাডোলে তেলেগু ভাষা তার স্বাতন্ত্র্যের দাবিদার হয়ে ওঠে। কাজেই মাদ্রাজেরই একটি অংশ নিয়ে অন্ধ্র রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে কংগ্রেস নেতা পট্টি শ্রীরামালু আমরণ অনশন শুরু করেন (১৯ অক্টোবর ১৯৫২-১৫ ডিসেম্বর ১৯৫২)।


স্মরণযোগ্য : পূর্ব বাংলায় বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভে গুলি চালানোর পরই চাঙ্গা হয়ে ওঠে তেলেগু ভাষার আন্দোলন। বাংলায় আন্দোলন পরিচালিত হয় বিক্ষোভের ধারায়, অন্ধ্রে অনশন পরিচালিত হয় গান্ধীবাদী ধারায়। ‘অন্ধ্রের গান্ধী’র মৃত্যুর পর হরতাল ও বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর ভাষার ভিত্তিতে প্রথম রাজ্য গঠিত হয় অন্ধ্রপ্রদেশ। আগে ছিল উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ; এবার প্রতিষ্ঠিত হলো দক্ষিণপ্রদেশ (তেলেগু ভাষায় ‘অন্ধ্র’ মানে দক্ষিণ)। এ সময় পূর্ব বাংলায় নতুন রাষ্ট্রের খসড়া রচিত হয় যুক্তফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর।


এদিকে মাদ্রাজ ভেঙে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠন করার পর ভারতের সংবিধানই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ভাষাভিত্তিক আন্দোলন-যার মধ্যে অন্যতম অহিন্দিভাষী কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এবং কেরালা। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় : ‘বাসাছাড়া পাখি ধায় আলো-অন্ধকারে/ কোন্ পার হতে কোন্ পারে।’ (‘বলাকা’, রচনা : অক্টোবর, ১৯১৫ : কার্তিক ১৩২২)। মাদ্রাজ ভেঙে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হওয়ার পর সংবিধান পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।


কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৪৮ সালের ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনে ১৯৫৩ সালে কমিশন গঠন করে। ১৯৫৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর গঠিত ফজল আলীর রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন তার সুপারিশ পেশ করে ১৯৫৫ সালে; ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে দ্য স্টেটস রিঅর্গানাইজেশন অ্যাক্ট পাশ হয়। ১৯৪৮ সালের কমিশন ভৌগোলিক সাদৃশ্য, প্রশাসনিক সুবিধা এবং অর্থনৈতিক নির্ভরতার ওপর নির্ভর করে রাজ্য গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেখানে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি। এবার ১৯৫৬ সালে সপ্তম সংশোধনী এনে স্বীকার করে নেওয়া হয় ভাষাতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক মানদণ্ড।


এ আইনে ১৯৫০ সালের ২৮টি রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভেঙে ভাষার ভিত্তিতে ১৪টি অঙ্গরাজ্য এবং ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব করা হয়। অসমীয়া, বাংলা, উড়িয়া, তামিল, মালয়ালাম, কানাড়া, তেলেগুভাষীদের জন্য আগের রাজ্যব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করে গঠন করা হয় আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, মাদ্রাজ, কেরালা, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এর মধ্যে হিন্দি ভাষার অঞ্চল বিস্তৃত হওয়ায় প্রশাসনিক সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠিত হয় তিনটি রাজ্য।


হিন্দিভাষী এ তিনটি রাজ্য হলো উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহার। ভাষা একটি, রাজ্য তিনটি। নতুন রাজ্য পুনর্গঠন নীতিতে ‘এক ভাষা, এক রাজ্য’ নীতি বর্জিত হয়। হিন্দিভাষী আরেকটি রাজ্য হলো রাজস্থান। উর্দু ভাষাভাষীদের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর।


এ তালিকায় গুজরাটি ভাষাভিত্তিক রাজ্য প্রস্তাবিত না হওয়ায় শুরু হয় মহাগুজরাট আন্দোলন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬০ সালে বোম্বে রাজ্য ভেঙে তৈরি হয় মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট। পাঞ্জাব ভেঙে ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দিভাষী হরিয়ানা। হিন্দির আইনগত পঞ্চদশ বার্ষিক (১৯৫০-১৯৬৫) আধিপত্যের মেয়াদ ১৯৬৫ সালে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকে।


‘শঙ্খ’ কবিতার ব্যাখ্যায় রবীন্দ্রনাথ ‘বাসাছাড়া পাখি’কে বলেছেন ‘চাক ভাঙ্গা মৌমাছির দল’-যারা বেরিয়ে পড়েছে আবার চাক বাঁধতে। সেখানে দেখা যায় পুরাতনকে ভেঙে নতুন জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র গড়ার প্রচেষ্টা। কবিতার ক্ষেত্রে বলাকা নতুন যুগের বার্তাবহ, রাজনীতির ক্ষেত্রে হোমরুল। দুটির জন্ম প্রথম বিশ্বযুদ্ধের গর্ভে। বলাকার জন্ম ১৯১৪-১৯১৬ কালে, হোমরুলের জন্ম ১৯১৬-১৯১৮ কালে।


হোমরুলের বাণী হলো : ভাষার সংগ্রাম সব ধরনের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এমন একটি প্রতীক, যার গর্ভ থেকে জন্ম নেয় নতুন রাজ্য, নতুন রাষ্ট্র এবং নতুন সভ্যতা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হোমরুলে যে আকাঙ্ক্ষার জন্ম, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উপমহাদেশে হয় তার সফল বাস্তবায়ন।

চাইলে আপনিও হতে পারেন ঢাকা ভয়েজ পরিবারের অংশ। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কিংবা মতামত বা সৃৃজনশীল লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। নাম সহ প্রকাশ করতে চাইলে লেখার নিচে নিজের নাম, পরিচয়টাও উল্লেখ করে দিন। ঢাকা ভয়েজে প্রকাশিত হবে আপনার লেখা। মেইল : dhahkavoice.news24@gmail.com 


No comments

Powered by Blogger.