আল আকসা থেকে মুসল্লিদের পিটিয়ে বের করা হলো
পবিত্র আল আকসা মসজিদে প্রথম তারাবি আদায় করার জন্য জড়ো হন হাজার হাজার মুসল্লি। তবে বয়স্কদের ঢুকতে দিলেও যুবক এবং তরুণদের ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। কোনোভাবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। শুধু বাধাই নয়, রীতিমতো পেটানো হয় তাদের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন যুবকরা। তবে তাদের কোনোভাবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। চালানো হয় হামলা।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীটির সঙ্গে সংঘাতেও জড়ান কেউ কেউ। আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মূল গেটের বাইরের অংশে নামাজ পড়ছেন অনেকে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো- ৪০ বছরের নিচে কেউ আল-আকসা চত্বরে ঢুকতে পারবে না।
অনেকে ধারণা করছেন, আল-আকসা মসজিদ ঘিরে ইসরায়েলি বাহিনী যে খবরদারি করছে তার বিরুদ্ধে যেন কোনো প্রতিবাদ না হয়। আর তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সাধারণত তরুণ-যুবকরা। তাদের ঠেকাতেই অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
পবিত্র রমজান মাস আসলেই আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন-নিপীড়ন নেমে আসে। এবার গাজা যুদ্ধের কারণে শঙ্কাটা আরও বেশি ছিল। কারণ আগ থেকেই গোটা চত্বর এলাকায় মোতায়েন ছিল ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথম তারাবিতে পরিস্থিতি কি হয় তা নিয়ে শঙ্কা ছিল সবার।
সব শঙ্কা আর ভয়ভীতি উড়িয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থানে জড়ো হন শত শত মুসল্লি। আদায় করেন তারাবির নামাজ। প্রথম রমজানের তারাবি আদায়ের জন্য এদিন হাজির হয়েছিলেন নারীরাও।
এই নামাজ ঘিরে যেন কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয় এ জন্য আগেভাগেই সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মসজিদ চত্বরে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের পড়তে হয় তল্লাশির মুখে।
জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন।
No comments