চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার সময় পিছিয়ে সোয়া ৯টায়
বাংলা নববর্ষবরণের সব প্রস্তুতি শেষ। তবে অন্যবারের হিসাবে এবার ১৫ মিনিট পিছিয়ে সকাল সোয়া ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। ছায়ানটের আয়োজন শেষে শিল্পীরা যেন শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে সে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল এ তথ্য দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন।
এবারে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য করা হয়েছে, ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী।’ নতুন বছরকে বরণের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘শোভাযাত্রার উপজীব্য হলো অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদ্যাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) সকাল সোয়া ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান থেকে এসে অনেকেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে চান। এ কারণে ১৫ মিনিট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশুপার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলার বকুলতলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবার কোনো বাণিজ্যিক প্রচারণা চালানো যাবে না বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পয়লা বৈশাখে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে শোভাযাত্রার ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয়, সেই বিষয়টিও দেখা হবে। ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। এ ছাড়া ইভ টিজিং প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টোরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে।
পয়লা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাজানো ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান উপাচার্য।
এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটটি বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে।
No comments