ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খাওয়ার উপকারিতা
বাঙালির খাবারের তালিকা এত দীর্ঘ যে লিখে শেষ করা মুশকিল। ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস, ভর্তা, ভাজি, ডাল যাই থাকুক স্বাদে সবগুলোই অনন্য। আর সেসব খাবারের সাথে পাতে কাঁচা মরিচ ছাড়া অনেকের যেন খাওয়াই হয় না। কিন্তু কাঁচা মরিচের ব্যবহার কি কেবল রান্নায় ঝাল আর সুগন্ধ বাড়ানোর জন্য? তা নয়। এই কাঁচা মরিচ ভিটামিনের এক চমৎকার উৎস। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও।
কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস যথেষ্ট উপকারী। কাঁচা মরিচে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান শরীর থেকে বিভিন্ন অসুখ দূরে রাখে। সেইসঙ্গে শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ ঝরাতেও কাজ করে এটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক আরও কিছু উপকারিতা-
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাওয়ার কারণে হজমে নানা সমস্যা লেগে থাকে আমাদের বেশিরভাগেরই। এ সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে কাঁচা মরিচ। খাবারের সঙ্গে একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে, সেইসঙ্গে বাড়বে হজম ক্ষমতাও। ফলে দ্রুতই কমে আসবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। কাঁচা মরিচে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান আলসার দূরে রাখতে সাহায্য করে। তবে যারা আলসারে আক্রান্ত, তারা কাঁচা মরিচ থেকে দূরে থাকবেন।
ত্বকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে
আপনি যদি ভাতের সঙ্গে নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে দূরে থাকা যাবে ত্বকের সংক্রমণ থেকে। কাঁচা মরিচে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। সেইসঙ্গে এতে আরও থাকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ফলে কাঁচা মরিচ খেলে ত্বকের সংক্রমণ তো কমেই, সেইসঙ্গে ব্রণ দূর হয় দ্রুত। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কাজ করে কাঁচা মরিচ। আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন, কাঁচা মরিচ সব সময় ঠান্ডা স্থানে রাখবেন। নয়তো এর ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
ওজন কমাতে কাজ করে
কাঁচা মরিচে আছে থার্মোজেনিক উপাদান যা শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে দারুণ কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি মেটাবলিক রেট বাড়াতেও কাজ করে। এই মেটাবলিক রেট বাড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই আপনি যদি বাড়তি ওজন কমাতে চান তাহলে নিয়মিত খাবারের সঙ্গে একটি করে কাঁচা মরিচ খাবেন। এতে উপকার পাবেন দ্রুতই।
হার্ট ভালো রাখে
হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে কাঁচা মরিচ। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রক্তে ক্লট হওয়ার আশঙ্কা কমে। ফলে কমে হার্ট অ্যাটাকের ভয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাবারে কাঁচা মরিচ রাখলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে থাকে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও। যে কারণে হার্ট থাকে অনেকটাই আশঙ্কামুক্ত।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
আপনার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যদি ডায়াবেটিসের হিস্ট্রি থাকে তবে আগেভাগেই সতর্ক হোন। এর অংশ হিসেবে প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে একটি করে কাঁচা মরিচ যোগ করুন। এতে মিলবে উপকার। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
No comments