উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
ডায়াবেটিসের উচ্চ ঝুঁকির আরো বহুবিধ কারণের সঙ্গে পরিবেশদূষণও যুক্ত আছে। সাম্প্রতিক তথ্য মতে, প্রতিদিনের বায়ুদূষণের সূচকে ঢাকাসহ বাংলাদেশের প্রায় সব শহর একদম শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩২ লাখ মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ ছিল উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণ, যার বেশির ভাগই ঘটেছিল নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা বায়ু ও অন্যান্য পরিবেশদূষণকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সুনির্দিষ্ট কারণ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
বায়ুদূষণ বৃদ্ধি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কারণগুলো যেমন—ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হ্রাস, অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূল শিশুদের মধ্যে ইনসুলিনের উৎপাদন হ্রাস করে।
বায়ুদূষণ এত ক্ষতিকর কেন ?
বায়ুদূষণ ধাতু এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থসহ সূক্ষ্ম কণা বহন করে, যা ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অংশে প্রদাহ সৃষ্টি করে। কিছু বিশেষজ্ঞের অনুমান, বায়ুদূষণের সূক্ষ্ম কণা থেকে প্রদাহ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, বায়ুদূষণ অস্বাস্থ্যকর উপায়ে অন্ত্রের পরিবর্তন করে, সম্ভাব্য টাইপ ২ ডায়াবেটিসে অবদান রাখে। বায়ুদূষণ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে ধ্বংস করে, যা শরীরকে খাদ্য ভাঙাতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
শুধু বায়ুদূষণই ডায়াবেটিস সৃষ্টি করে না, এটি ঝুঁকির কারণগুলোর একটি নক্ষত্রপুঞ্জ, যার মধ্যে দরিদ্র খাদ্য, দুর্বল শারীরিক কার্যকলাপ এবং পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থের বেশি এক্সপোজার অন্তর্ভুক্ত।
করণীয়
ব্যস্ত রাস্তা থেকে দূরে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ব্যায়ামের জন্য বাইরে যাওয়ার আগে বাতাসের মানের স্তর পরীক্ষা করা যেতে পারে। বায়ুুর গুণমান এখন অনেক আবহাওয়া অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, অথবা আপনি ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’-এর মতো বায়ুর গুণমান নির্দিষ্ট অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে বায়ুদূষণ কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের দূষণ কমানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিসের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। পরিবেশের দূষণ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানো উচিত।
No comments