একজন প্রেমিকের শোকসভা || আহসান হাবীব রকি
মনের গহীন কল্পনাতে- আমার একটা গল্প ছিল
সেই গল্পের কেন্দ্র জুড়ে "মায়াবিনী একটা মেয়ে ছিল"
যার ডাগর-ডাগর চোখ আর চোখেভর্তি কাজল
পুরু ঠোঁটের ভাঁজে যার অমৃত্যের নীল হিজল
গালের টোলে ডলে পড়ে ফাগুন রাঙা আলো
মাথা ভর্তি কালো চুল যেন কালবৈশাখীর মত কালো
বাঁধন ছাড়া নরম-তুলতুলে অঙ্গে যেন আশ্বিন মাসের জোয়ার
বলতে-কথায় গুলিয়ে ফেলে "কি ছিল তাঁর বলার?"
অভিমান ছিল তাঁর নাকের ডগায়
আড়ি পাততো সে কথায়-কথায়
আবার চুপটি করে থাকলে হাতটি ধরে চিমটি কেটে বলে
"কি! আমাকে রাগিয়ে এখন খুব খুশি?"
কিছু বলে ওঠার আগেই কান্না জড়ানো চোখে অকারণ জড়িয়ে ধরে বলতো " ভীষণ ভালোবাসি"
মন কেমন হলেই বলতো, আমি ভীষণ বদরাগী
জানি, খুব সম্ভবত একটুখানী অভিমানীও বটে
তবে আমি ভীষণ প্রেমকাতুরে, শক্ত করে হাত ধরেছি
কথা দাও- জীবনে যাই ঘটুক ছেড়ে যাবে না কোনো মতে..
আমার যে বড় সাধ, "তুমি, আমি আর আমাদের ছোট্ট একটা টোনাটুনি সংসার"
তোমাতেই সূচনা, তোমাতেই হোক উপসংহার।
এসব ভাবলে!
আধখাওয়া সিগারেটের ধোয়া আচমকাই গলায় বেঁধে যায়
আর আমি অকারণ এক অট্টহাসিতে গড়িয়ে পড়ি
খুবটি করে বুঝতে পারি
আশে-পাশে লোকজন আমায় পাগল ভেবে ভ্রুঁ-কুচকে এড়িয়ে যায়
তাতে আমার বয়েই গেলো,
তাঁরা তো আর জানে না
কতটা শোকে একটা মানুষ বিদ্ধুুটে হাসিতে চোখের কোণে জল জমায়-
মিথ্যে স্বপ্নের প্রলভনে হেরে যাওয়ার গল্পগুলো তাসে হেরে যাওয়া "প্রেমিকের বুকে"
অসহ্য ব্যাথার মত "ক্যান্সার" হয়ে থেকে যায়।
No comments