বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৩ দিনের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে বাসভবন ফিরোজায় তাকে নিয়ে আসা হয়।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বাসায় পৌঁছেছেন।
এর আগে ৩১ মার্চ মধ্যরাতে খালেদ জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তার বেশকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
সংশ্লিষ্ট অন্য একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি নেত্রীর মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সোমবার রাতে বৈঠকে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গেও পরামর্শ করেন।
বিদেশি সেসব চিকিৎসকও খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত রয়েছেন। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অনলাইনে আলোচনা করে পরামর্শ নিয়ে থাকেন খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে আলাপের পর বিএনপি নেত্রীকে বাসায় ফেরার অনুমতি দেন চিকিৎসকরা।
গত সোমবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন। এরপর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি খুবই অসুস্থ।
এর আগে গত ২৭ মার্চও খালেদা জিয়া বাসায় অসুস্থবোধ করতে থাকেন। তবে সেদিন তাকে হাসপাতালে আনা হয়নি। তবে তার আগে ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হয়। ওই সময় ১ দিন হাসপাতালে থেকে ১৪ মার্চ মার্চ বাসায় নিয়ে আসা হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকেই নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে দণ্ডিত হয়ে তার দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার পথ রুদ্ধ হয়েছে। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
No comments