Adsterra

কোন সাপ রাসেল ভাইপার, কীভাবে চিনবেন ?

কোন সাপ রাসেল ভাইপার, কীভাবে চিনবেন, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News


রাসেল ভাইপার। ভয়ংকর বিষধর এক সাপ। এক দশক আগেও সাপটির অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব বেশি শোনা যায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের নানা অঞ্চলে এটি ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে পদ্মা-যমুনা নদী ও তার অববাহিকায়।


চলতি বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ক্ষেতে কাজ করার সময় রাসেল ভাইপারের আক্রমণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় রাসেল ভাইপারের আতংক এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, ক্ষেতের পরিচর্যার জন্য শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ফসল কাটতে ক্ষেতে যেতেও ভয় পাচ্ছেন কৃষকরা।


রাসেল ভাইপার চিনবেন যেভাবে

বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, রাসেল ভাইপার (Russell's Viper) সাপটি ‘চন্দ্রবোড়া’নামেও পরিচিত।


তিনি জানান, দেখতে মোটাসোটা তবে লেজ সরু হয়ে থাকে। মাথা ত্রিভুজাকার এবং ‘V’ আকৃতির সাদা রেখা আছে। শরীরের পৃষ্ঠতল বাদামী এবং বৃত্তাকার বা ডিম্বাকৃতির গাঢ় চিহ্নের তিনটি লম্বা সারি রয়েছে। সাপটির গায়ে ছোপ-ছোপ গোলাকার কালো দাগ থাকে।


জোহরা মিলা বলেন, ‘সাপটি লম্বায় তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। মাথার তুলনায় ঘাড় বেশ সরু। এর গায়ের রং হালকা হলদে বাদামী। ফলে শুকনো ঘাস-পাতার মধ্যে নিজেকে সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে। সাধারণত মে-জুলাই মাসে এর প্রজননকাল। স্ত্রী সাপ ডিম দেওয়ার পরিবর্তে সাধারণত ৫-৫০টি বাচ্চা প্রসব করে।’


তিনি বলেন, ‘সাপটি আতংকিত হলে বা হুমকি অনুভব করলে জিহ্বা বের করে প্রচণ্ড হিসহিস শব্দ করে। সাপটি সম্পর্কে যার ধারণা নেই তিনি এটিকে অজগর ভেবেই ভুল করবেন। এই প্রজাতিটি প্রাথমিকভাবে নিশাচর হিসেবে সক্রিয় অর্থাৎ সাপটি সাধারণত শিকার কিংবা খাদ্যের সন্ধানে রাতে বিচরণ করে।’


ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই কিনুন রকমারি থেকে।   বই সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই কিনুন রকমারি থেকে। 

বই সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন 


সাম্প্রতিককালে ফসলের বিশেষ করে ধানক্ষেতে রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি নিয়ে এই বন্যপ্রাণী গবেষক বলেন, ‘ইঁদুর, ব্যাঙ, ছোট পাখি ও টিকিটিকি রাসেল ভাইপারের প্রিয় খাবার। যেহেতু ফসলের ক্ষেতে ইঁদুরের উৎপাত বেশি তাই খাবারের খোঁজে সেখানে গিয়ে হাজির হয় রাসেল ভাইপার।’


তার ভাষ্য, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে ঝোপঝাড়ের পরিমাণও কমে গেছে। ফলে অনেক সময় বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ ও পর্যাপ্ত খাবার পেয়ে ফসলের ক্ষেতের আশেপাশেই আবাস গড়েছে এই সাপ; বংশবিস্তার করছে। কৃষকরা যেহেতু ফসলের ক্ষেতেই কাজ করেন তাই তারাই বেশি রাসেল ভাইপারের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।’


জোহরা মিলা আরও বলেন, এই সাপের বিষ ‘হেমোটক্সিন’ হওয়ায় মাংস পঁচেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী সাপটি সংরক্ষিত।

No comments

Powered by Blogger.