বেনজীরের আরও ১১৩ দলিলের সম্পত্তি ও গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৩টি দলিলের সম্পত্তি এবং গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁদের নামে থাকা শেয়ার ও সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ও সিনিয়র বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে তাঁর আরও সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। সেগুলো ক্রোকের আদেশ চেয়ে দুদক আজ রোববার আদালতে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর থানার ১১৪টি দলিলের শত শত বিঘা জমি, সাভারের বেশ কয়েকটি জমি, বেনজীর পরিবারের সাভানা অ্যাগ্রো লিমিটেড, সাভানা ইকো রিসোর্ট, একটি শিশিরবিন্দু নামে আরেকটি কোম্পানির সব সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের ৩০ লাখ টাকা, শান্তা ও লঙ্কাবাংলার বেনজীর পরিবারের শেয়ার ও আরও ১৫টি কোম্পানিতে বেনজীর পরিবারের বিভিন্নজনের নামে আংশিক শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এসব সম্পদ বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে রয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এই আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তীকালে আরও সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেলে সেগুলো ক্রোক এবং অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হবে।
সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদেশের কপি দুদকে পাঠানো হয়েছে।
No comments