গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর দেওয়া প্রস্তাব মেনে নিয়েছে হামাস। গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি এই অবস্থান ব্যক্ত করেছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, এই প্রস্তাব তাদের মৌলিক দাবিগুলোকে পূরণ করে না এবং তারা এখনো রাফাহে অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে দেশটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় তারা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হামাস এমন এক সময়ে যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করল যখন ইসরায়েলি সেনারা রাফাহ সীমান্তের মাত্র ২০০ মিটার দূরে অবস্থান নিয়েছে এবং রাফাহ থেকে বেসামরিক লোকদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়া কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন, হামাস তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।
ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই কিনুন রকমারি থেকে।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছে, এই প্রস্তাব ইসরায়েলের প্রধান দাবিগুলো পূরণ করেনি। তবে তাঁরা জানিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বর্তমান প্রস্তাব তারা এখনই মেনে না নিলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চেষ্টা করবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের দুর্বল সংস্করণ এবং এতে এমন উপাদান অন্তর্ভুক্ত যা ইসরায়েল গ্রহণ করতে পারে না।
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাতারি প্রতিনিধি দল আজ মঙ্গলবার মিসর পৌঁছাবে এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করে অতি দ্রুত একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। তবে পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কবে নাগাদ পৌঁছাবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি দেননি।
অপর এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা রাফাহ অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছে। দেশটির এই অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, নেতানিয়াহু রাফাহে বোমা হামলা করে যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাকে বিঘ্নিত করছেন।
No comments