গর্ভবতী মায়েদের জিঙ্ক সমৃদ্ধ ছয় খাবার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গর্ভবতী মহিলাদের কোষ বিভাজন এবং প্রোটিন বৃদ্ধিতে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মা এবং ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের পুষ্টির চাহিদা পূরণে জিঙ্ক খুবই কার্যকর। গর্ভাবস্থায় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি প্রায়ই দেখা যায়। এটি মা ও শিশু দুইজনের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে।
পুরষ্কারপ্রাপ্ত পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় জিঙ্ক হবু মা এবং তার ক্রমবর্ধমান সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। দৈনিক প্রায় ১২ মিলিগ্রাম পরিমাণ জিঙ্ক খাওয়া উচিত।’জিঙ্ক এমন একটি উপাদান, যা সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শারীরিক টিস্যু তৈরি এবং মেরামত করে। এজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক গ্রহণ করুন।’
চলুন দেখে নিই ছয়টি জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার।
মসুর ডাল
উদ্ভিদ–ভিত্তিক প্রোটিনের একটি উৎস হলো–মসুর ডাল। মসুর ডাল আপনার ডায়েটের একটি উপাদান হওয়া উচিত। কারণ এতে জিঙ্ক রয়েছে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী।
বাদাম
বাদাম একটি পাওয়ার হাউস। হবু মায়েরা বিকেলে স্ন্যাকস হিসেবে কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম খেতে পারেন। দিনের শুরুতেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে, সারারাত বাদামগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই কিনুন রকমারি থেকে।
কাজু
কাজু ফাইবার, প্রোটিন এবং ভাল ফ্যাটগুলোর একটি ভালো উৎস। এটি থেকে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাসও পেতে পারেন।
তিলের বীজ
তিলের বীজ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উত্স। সালাদ, রুটি, মাফিন এবং অন্যান্য খাবারে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবারটি গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য বেশ উপকারি।
সূর্যমুখী বীজ
সূর্যমুখী বীজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
পনির
নিরামিষাশীদের জন্য পনির প্রোটিনের একটি উত্স। গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যতালিকায় এটি অবশ্যই রাখুন।
No comments