Adsterra

চৌগাছায় মুসলিম জনগোষ্ঠির আবির্ভাব

চৌগাছায় মুসলিম জনগোষ্ঠির আবির্ভাব , ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News


পীর আওলিয়া, ফকির দরবেশদের আগমনে চৌগাছা জনপদ ইসলাম ধর্মের আগমন ঘটে ও মুসলমান জনগোষ্ঠি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অর্য শ্রেণীর ঘাত- প্রতিঘাত, আর্য শ্রেণী কর্তৃক অত্যাচার নির্যাতন বর্ণবৈষ্যমের তিক্ততা থেকে অনার্য ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্বপ্নময় ঝর্ণার স্রোত ধারার মতো বৈষম্যহীন, বর্ণহীন, অবর্ননীয় আওলিয়াদের আচরণে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে নিম্ন হিন্দু সম্প্রদায় (আর্যরা) ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হয়।

৬১০ হিজরীতে ১২ জন আওলিয়া আসে। ৮০০ খৃষ্টাব্দে হযরত খানজাহান আলী (রাঃ) প্রথমে এ উপদ্বীপে ইসলামের মহান বার্তা নিয়ে আসেন।

এছাড়া হযরত শাহ সুফি সুলতান আহম্মদ মানসিংহের সাথে পদাতিক বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে অঞ্চলে আসে ও ইসলাম প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। হযরত শাহ আলী (রা.) এর উত্তর পুরুষ হযরত শাহ হাফিজ অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে চৌগাছা অঞ্চলে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী বারবাজার সেখানে বার আওলিয়ার আবির্ভাব ঘটে। তারা হিন্তু উচ্চবর্ণের বর্নবাদ প্রথায় লাথি মেরে অনার্য শ্রেণীর সঙ্গে সত্যধর্ম ইসলামের মর্মবানী তুলে ধরেন।

সাম্যবাদী বৈষ্ণম্যহীন পবিত্র কুরআনের মর্মবানী মর্মস্পর্শ করার মাধ্যমে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের ‘‘তাওহীদের একত্ববাদ’’ শিক্ষা দেয়। এছাড়া বহু পীর ফকিরের দর্গাতলায় মানুষ মুরিদ হয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। পরবর্তীতে ফুরফুরা শরীফের পীর সাহেব খড়কীর পীর সুফী মুহাম্মদ আঃ করিম (রাঃ), এছাড়া পাঁচ পীরের কথিত লোক কাহিনী শোনা যায়। এছাড়া বলু দেওয়ান (হাজরাখানা) এই আওলিয়া বহু অলৌকিক কাহিনী ঘটিয়ে সেই সময় বহু মানুষের ইসলামের পথে আনতে সক্ষম হন।


 

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই  আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য    বই সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই  আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য


পরবর্তীতে মুন্সী মুহাম্মদ মেহেরুল্লাহ। ইসলামের বিপ্লবী ঝান্ডা আর শক্তিশালী ভাবে তুলে ধরেন।



এছাড়া মাওলানা নিজাম উদ্দীন (বেড়েয়ালী), মাঃ জয়নাল আবেদীন (মাঠচাকলা), তাদের আচার আচরণে ককিল কণ্ঠ ওয়াজ নছিয়তে এলাকার মানুষ ইসলামের দিকে এগিয়ে আসে।

প্রাচীন তম মসজিদ বা উপাসনালয় তেমন দেখা যায় না। তবে উপজেলার হাকিমপুরে রানীভবানীর নির্মিত মসজিদের ভগ্নাংশ পরিলকি্থত হয়। এছাড়া স্বরূপপুরে মুঘল আমলের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ বিদ্যমান। যেখানে দুটি পাথর আছে একটিতে কালিমা ও অন্যততে আয়তুল কুরসি লেখা আছে। এই পাথরদ্বয়ের স্পর্শ করা পানি দুধ তৈল রোগের ঔষধ হিসেবে বহুলোক ব্যবহার করে। 

No comments

Powered by Blogger.