ঝিনাইদহে আ. লীগের সম্পাদক আটকের ঘটনায় শহরে কড়া নিরাপত্তা
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটকের ঘটনায় শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আজ বিকেল থেকে শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়, মুজিব চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতা কর্মীর ভিড় দেখা গেছে। কেউ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তারা জানান, এখন কোনো মন্তব্য করা যাবে না। তাকে (সাইদুল করিম মিন্টু) ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। এ ছাড়া আটক সাইদুল করিম মিন্টুর বাসভবনের সামনেও সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমপি হত্যার মামলাটি ঢাকা পুলিশ তদন্ত করছে। যেহেতু সাইদুল করিম মিন্টুকে পুলিশ নিয়ে গেছে, ঢাকাতে সেই হিসেবে জেলা শহরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের টহলও বাড়ানো হয়েছে।’
এর আগে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আটকের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পরপরই কালীগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ করেছে দলীয় নেতা কর্মীরা। এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলকারীরা এমপি আনার হত্যার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজামান শাহীনসহ আটক জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিষয়ে গভীরভাবে তদন্তের দাবি জানান।
No comments