টিকটকার লায়লার ধর্ষণ মামলায় কুমিল্লায় গ্রেপ্তার প্রিন্স মামুন, আনা হচ্ছে ঢাকায়
আলোচিত টিকটকার জুটি লায়লা আক্তার ফারহাদ (৪৮) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন (২৫)। সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। এবার লায়লার করা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলায় প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে সোমবার (১০ জুন) দিবাগত রাত ১২টায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক মো. রিপন মিয়া।
তিনি বলেন, মামুনকে রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা-পুলিশ। রাত ১২টায় তাঁকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ রাতেই তাঁকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে গত রোববার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন লায়লা। সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামুন তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। মামুন তাঁকে জানান, তাঁর ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। সরল বিশ্বাসে মামুনকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন লায়লা।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে তাঁরা দুজন একই কক্ষে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন মামুন। বাসায় থাকাকালে মামুনের বাবা-মা মাঝেমধ্যেই এসে অবস্থান করতেন। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন শোয়ার ঘরে আগের মতোই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লায়লাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁকে বিয়ের কথা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মামুন এবং লায়লাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
No comments