Adsterra

যে ১৭ টি অভ্যাস অন্যের জন্য খুবই বিরক্তিকর

যে ১৭ টি অভ্যাস অন্যের জন্য খুবই বিরক্তিকরঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News


কিছু কিছু মানুষের এমন কিছু অভ্যাস আছে যা অন্যের জন্য হয়ে ওঠে খুবই বিরক্তিকর। অথচ সেটা তাদেরকে আপনি বুঝিয়ে বলতে গেলে হয়তো ভুল বুঝে বসে। আবার এমনও হয় যে সে ব্যক্তি আপনার কাছে যাদেরকে সে বিষয়গুলো বুঝিয়েও বলা যায় না। সুতরাং আশে পাশে এমন মানুষগুলোর সঙ্গেই আমাদের বসবাস করতে হয়। তবে সেই অভ্যাসগুলো জানুন এবং নিজের মধ্যে এমন কোন অভ্যাস থাকলে এখনি বর্জন করুণ। কারণ সত্যিই সে বিষয়গুলো যে কারো কাছে খুবই বিরক্তিকর। চলুন দেখে নেওয়া যাক অভ্যাসগুলো- 


১। প্লেন বা বাসের সিটে যখন কেউ খুব আয়েশ করে বসে, তখন সে অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, নিজে আরাম করে বসার জন্য হয়তো সে সামনের সিটে পা দিয়ে ধাক্কা দেয় কিংবা অনেকটা পেছনে হেলান দিয়ে বসে। এতে অন্য যাত্রীদের বসতে কষ্ট হয়। এমন মানুষ যাত্রাপথে থাকলে বিরক্তির উদ্রেক হয়। 


ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই  আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য    বই সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই  আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য


২। আপনি যখন কম্পিউটারে কোনো কাজ করবেন, তখন কেউ এসে পেছনে যদি দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে তো বিরক্ত হবেনই। এই অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে, যাঁরা পেছনে দাঁড়িয়ে অন্যের কাজ দেখতে পছন্দ করেন।


৩। সিনেমায় কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেগুলো যদি জোরে জোরে কেউ সিনেমা হলে বলতে থাকে, তাহলে বিরক্ত না হয়ে উপায় আছে বলুন? এমন জ্ঞানী মানুষের সঙ্গে সিনেমা হলে দেখা হলে সেই সময়টা আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে।


৪। অনেক সময় কোনো কিছুর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে কেউ কেউ আছেন অন্যের শরীরের সঙ্গে ঘেঁষে দাঁড়াতে পছন্দ করেন। আপনি যতই বিরক্ত হোন না কেন, তিনি এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবেন।


৫। আপনি কথা বলতে থাকলে যখন কিছুক্ষণ পরপর কেউ `কী?` বলে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তখন তো বিরক্ত লাগবেই। একবার-দুবার হলে ঠিক আছে। প্রতিবারই এমনটা করতে থাকলে আপনি নিশ্চয়ই তাঁর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।


৬। যখন কেউ ঘরে ঢুকে খুব জোরে দরজা আটকায়, তখন অন্যরা খুবই বিরক্ত হয়। এই অভ্যাস যাঁদের আছে, তাঁরা শুধু বাসা নয়, যেকোনো জায়গায় গেলেই একই আচরণ করে।


৭। হঠাৎ করে আপনার গায়ে কফি পরে গেল কিংবা সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে আপনি পড়ে গেলেন। তখন আপনাকে সাহায্য করা তো দূরের কথা, উল্টো কেউ একজন হাসতে শুরু করল। এ ধরনের মানুষদের কার পছন্দ হবে বলুন?


৮। যখন অজানা কোনো মানুষ আপনার দিকে একটানা তাকিয়ে থাকবে, তখন ভালো লাগার থেকে অস্বস্তিই বেশি লাগবে। আর এটা বিরক্তকরও বটে। 


৯। যখন কেউ সঙ্গীকে সময় দেওয়ার বদলে নিজের স্মার্টফোনকে বেশি সময় দেয়, তখন বিরক্তির পাশাপাশি আফসোসও কাজ করে। 


১০।  আপনি কোনো সমস্যায় পড়লে যখন কেউ বলে, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, এটা করার দরকার নেই’, তখন আপনার বিরক্তির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, তাই না?


১১। সামান্য কিছু হলেই কিংবা অকারণে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখাটা খুবই বিরক্তিকর একটি অভ্যাস। অনেক মানুষের মধ্যেই এই অভ্যাসটি আছে। দেখা গেল আপনি অকারণে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রেখেছে ঠিক এই মূহুর্তে কেউ একজন খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজে ফোন দিয়েছে। কিন্তু আপনার ফোন বন্ধ থাকায় সেই ব্যক্তি খুব বিরক্তবোধ করছে কিংবা সঙ্গীর ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে।


১২। এটা একটা খুবই বাজে অভ্যাস। আপনি একজনের সঙ্গে কথা বলছেন কিন্তু তার সামনেই বার বার থু থু ফেলছের আর কথা বলছেন, এতে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি খুব বিরক্তবোধ করবে। তার মনে আপনার সম্পর্কে ঘৃণা জন্মাবে।


১৩। ভালো খাবার খাওয়ার পর আয়েশ করে ঢেঁকুর তোলাটা আমাদের দেশে স্বাভাবিক রীতি হলেও এটি কিন্তু খুবই অশোভন একটি কাজ। ঢেঁকুরের শব্দটা শুনতে কিন্তু খুব একটা ভালো শোনায় না। এই অভ্যাসটি যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে বাইরে কোথাও খেতে গিয়ে যখন এ কাজটি করবেন তখন পাশের জনের খুবই বিরক্ত লাগবে। এমনকি তার খাওয়ার রুচিটাই হয়তো চলে যাবে।


১৪। আনেকেরই জোরে কথা বলার অভ্যাস আছে। তাই বলে কারণে-অকারণে জোরে কথা বলা অন্যের কাছে খুব বিরক্ত লাগতে পারে। বিশেষ করে ফোনে কথা বলার সময় এই প্রবণতাটা বেশি দেখা যায়। এতে আশেপাশের মানুষদের বিরক্ত লাগবে।


১৫। আপনি কি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া দেরি করছেন কিংবা কোন গুরুত্বপূর্ণ ফোন করার কথা ভুলে যাচ্ছেন? এই অভ্যাসটি একেবারেই অযোগ্য। আপনার জন্য আরেকজন অপেক্ষা করে করে আপনার ওপর বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক নয়।


১৬। অনেকেই পা ঘষটে বা ছেঁচড়ে শব্দ করে হাঁটেন। এটা খুবই বাজে অভ্যাস। এই শব্দ শুনতে খুব বাজে শুনায়। এতে আশেপাশের মানুষও বিরক্ত হয়ে উঠে।


১৭। দেখা যায়, অনেক ব্যক্তিই অকারণে গা চুলকান। শুধু তাই নয় খুব শব্দ করে গা চুলকাতে ভালোবাসে। এতে পাশের জনের খুব বিরক্ত মনে হয়। তাছাড়া এর পরিচয় মেলে বাঁদরের। কেননা বাঁদার অনবরত গা চুলকায় ঘ্যাঁসঘ্যাঁস করে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না কেউ বিরক্ত হয়ে আপনাকে বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করুক! তাই কারো সামনে শরীরের বিভিন্ন জায়গা চুলকাবেন না।


No comments

Powered by Blogger.