‘তুফানে’ যুক্ত হওয়ার পেছনের গল্প জানালেন চঞ্চল
মুক্তির পর থেকেই প্রেক্ষাগৃহে ঝড় তুলেছে শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমা। ঢাকাসহ সারা দেশের ১২০টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে চলছে এ সিনেমাটি। মুক্তির দিন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ছবিটি গড়ছে একের পর এক রেকর্ড।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফির এ সিনেমাটিতে অভিনয় করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দুই বাঘা অভিনেতা সুপারস্টার শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়াও অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
হলগুলোতে ‘তুফান’ নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সেটি সাম্প্রতিক সময়ের আর কোনো চলচ্চিত্র নিয়ে এমনটি দেখা যায়নি! ‘প্রিয়তমা’ কিংবা ‘রাজকুমার’ হলে সাড়া ফেললেও ‘তুফান’ যেন সবকিছুকেই এবার ছাপিয়ে গেছে। এই তুফানি ক্রেজের পেছনে শাকিবের পাশাপাশি চঞ্চল চৌধুরীর বিপুল ভক্তদেরও ভূমিকা আছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ‘তুফানে’ যুক্ত হওয়ার পেছনের গল্প বললেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চঞ্চল বলেন, ‘শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে এর আগে আমার দেখা হয়েছে কোনো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অথবা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে। সেখানে তার কথাবার্তা শোনার পর আমার মনে হয়েছে, তিনি আসলে বাংলা সিনেমার জন্য একজন ডেডিকেটেড মানুষ। শুধু অভিনেতা নন, আমরা অনেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি, কেউ করি রুটিরুজির স্বার্থে, কেউ শিল্প এবং সিনেমার স্বার্থে। তবে আমার মনে হয়েছে, এই মানুষটার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সিনেমাতে পরিবর্তন আনা সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানের করা সম্ভব।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘যখন আমাকে এ প্রস্তাবটা দেওয়া হয়, আমি আসলে আগে থেকেই চেষ্টা করছিলাম, যতবার শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আড্ডা হয়েছে, ততবারই আমরা ভেবেছি অ্যাকশন নিয়ে কাজ করা উচিত। এটা আমার জন্য সুযোগই। ভেবেছি, দেখি যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি, আমার কিছু দর্শক আছে, তারও দর্শক আছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে যদি অধিকাংশ দর্শককে সিনেমা হলে আনতে পারি, আমরা পরবর্তী সময়ে অনেক বড় বড় বাজেটনির্ভর সিনেমা করতে পারব।’
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা মিমি চক্রবর্তীকে আনার পেছনেও একই যুক্তি দেখালেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সিনেমাটিকে কলকাতার দর্শকনির্ভর করতে মিমিকে আনা। মিমি ওখানকার খুব জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তার জনপ্রিয়তা ওখানে তুঙ্গে। লক্ষ্য ছিল, আমরা আমাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করব, সেই সঙ্গে সারা পৃথিবীতে যত বাংলা ভাষাভাষি আছেন, তাদের ধরার চেষ্টা। তবে শুধু ছোট্ট একটা শক্তি দিয়ে তাদের ধরা সম্ভব নয়। শক্তিটাকে বৃহত্তর করতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
No comments