Adsterra

এমপি আনোয়ারুলের মরদেহের ট্রলি ব্যাগ পাওয়া প্রায় অসম্ভব : পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি

এমপি আনোয়ারুলের মরদেহের ট্রলি ব্যাগ পাওয়া প্রায় অসম্ভব, পশ্চিমবঙ্গ, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News


ভারতে খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত মরদেহ বহন করা ট্রলি ব্যাগের সন্ধান পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি কর্মকর্তারা। 


বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে। 


পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি নিখোঁজ হওয়ার ২২ দিন হয়ে গেল। তাতে মনে হচ্ছে ট্রলি ব্যাগটির সন্ধান পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে এখনো আমাদের কর্মকর্তারা তল্লাশি (নিউ টাউন এলাকায়) চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে শিগগিরই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ 

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই  আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য    বই সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

ডা. আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্যপরামর্শ বিষয়ক বই  আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য

  বই সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন


এ ঘটনায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন ঝিনাইদহ–৪ আসনের এমপি আনোয়ারুলের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এমপি ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে রওনা হন। ১১ মে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পান। 


গত ১৩ মে আনোয়ারুলের ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ পরে আরও কয়েকটি ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। 


এজাহারে আরও বলা হয়, এমপি আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হয়েছেন বলে বাদী জানতে পেরেছেন। তবে এখনো লাশ পায়নি পরিবার। 


পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আনোয়ারুল আজীম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন তাঁর কলকাতার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। 


গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা করেন।

No comments

Powered by Blogger.