ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর রকেট বৃষ্টি
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধ ৯ মাস গড়িয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে ২০০টি রকেট ও ড্রোন নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। এর পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলও এর পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ নামেহ নাসের নিহত হন। এরপরই ইসরায়েলে হামলা জোরদার করল এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
হামলার পর গতকাল হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শত্রুরা তাদের কমান্ডারকে হত্যা করেছে। এর প্রতিশোধ হিসেবে তারা ২০০-এর বেশি রকেট ও বিস্ফোরণ সহযোগে ইসরায়েলের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।
এ ছাড়া যুদ্ধ থামাতে নতুন শর্ত দিয়েছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা শেখ নাইম কাসেম গতকাল বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কেবল গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে হিজবুল্লাহ।
শেখ নাইম কাসেম বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই আক্রমণ থামিয়ে দেব।’
এদিকে ইসরায়েলে সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকেই লেবাননের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। ইসরায়েলের বাহিনীও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরায়েলি বাহিনী শুধু এটুকু বলেছে, লেবানন থেকে সন্দেহজনক বস্তু তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালানো হচ্ছে।
যদিও গতকাল সকালে হিজবুল্লাহর হামলা শুরুর পর লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতামূলক সাইরেন বাজায় ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এএফপির এক সাংবাদিক হিজবুল্লাহর ছোড়া রকেট ইসরায়েলে প্রবেশ এবং সেগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বংস হতে দেখেছেন।
No comments