শনিরআখড়া রণক্ষেত্র: হানিফ ফ্লাইওভারে গুলিতে তরুণ নিহত
ঢাকার হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশের ছররা গুলিতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁকে মৃত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়।
জানা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে আসেন। পরে মরদেহটি হাসপাতালের ভেতরে না নিয়েই আবার একটি অটোরিকশায় করে ফিরে যান তাঁরা।
সঙ্গে আসা স্বজন জানান, ওই তরুণের নাম সিয়াম (১৮)। তিনি গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী। রাতে বাসায় ফেরার পথে হানিফ ফ্লাওয়ারে সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন। এতে ঘটনাস্থলেই সিয়াম মারা যান। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলেও মারা গেছেন বুঝতে পেরে তাঁরা আর হাসপাতালের ভেতর ঢোকেননি। মরদেহ অটোরিকশায় করে বাসায় চলে যাচ্ছেন। সিয়ামের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। রাজধানীর মাতুয়াইলে থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। তিনি মারা যাওয়ায় তাঁর স্বজনেরা মরদেহ হাসপাতালের ভেতরে নেননি। জরুরি বিভাগের গেট থেকেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
এদিকে রাজধানীর শনিরআখড়া ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ জুলাই) দিনভর দফায় দফায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে শিক্ষার্থীরা ছাত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও সন্ধ্যার পর ফের তাঁরা জড়ো হন। এতে স্থানীয়রাও যোগ দেন। সন্ধ্যার পর থেকে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শনির আখড়া এলাকা।
এ সময় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার টোল প্লাজায় আগুন দেওয়া হয়। কাজলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে আগুনের ঘটনাও ঘটে। থানার বাইরে থাকা র্যাবের একটি গাড়ি এবং থানার বাইরে পার্কিং করা ডাম্পিংয়ের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
শনিরআখড়ায় পুলিশের গুলিতে দুই বছরের শিশু, তার বাবাসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যায় বাসার সামনে বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ হয় শিশুটি।
No comments