সিজদায়ে তিলাওয়াত কী কখন কীভাবে
কোরআন মজিদে সর্বমোট ১৪টি এমন স্থান রয়েছে, যা তিলাওয়াতের সময় তিলাওয়াতকারী ও শ্রবণকারীকে সিজদা করতে হয়। এ সিজদাটি আদায় করা ওয়াজিব। যদি নামাজের মধ্যে হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ সিজদাটি আদায় করতে হবে। নামাজের বাইরে হলে, তাৎক্ষণিক যদি কোনো ওজর থাকে তাহলে বিলম্বে আদায় করার সুযোগ রয়েছে। তবে বিলম্ব করা অনুচিত।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কী হলো যে তারা আল্লাহর প্রতি ইমান আনে না এবং যখন তাদের সামনে কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তারা সিজদাবনত হয় না?’ (সুরা ইনশিকাক: ২০-২১) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শোনার জন্য বসবে তার ওপরও সিজদা করা ওয়াজিব। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৫৯০৮)
যখন কোনো ব্যক্তি সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করবে, চাই সে তিলাওয়াতকৃত আয়াত শুনুক কিংবা না শুনুক—তার ওপর সিজদা করা আবশ্যক। তদ্রূপ সিজদা করা ওয়াজিব হবে, যখন কোনো ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনবে, চাই সে শোনার ইচ্ছা করুক কিংবা না করুক। যখন কোনো ব্যক্তি এমন কোনো ইমামের পেছনে নামাজরত রয়েছে, যিনি সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করেছেন, তাহলে তার অনুকরণে মুক্তাদিকেও সিজদা করতে হবে।
কোনো টেপ রেকর্ডার, মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে রেকর্ড করা তিলাওয়াত থেকে সিজদার আয়াত শ্রবণ করলে সিজদা করতে হবে না। তবে লাইভ তিলাওয়াত শুনলে সিজদার আয়াত শ্রবণ করলে সিজদা করা ওয়াজিব হবে।
সিজদায়ে তিলাওয়াতের নিয়ম হলো, দুই তাকবিরের মাঝে একটি সিজদা করা। প্রথম তাকবির হবে কপাল মাটিতে রাখার সময়। দ্বিতীয় তাকবির হবে কপাল মাটি থেকে তোলার সময়। তাকবিরের সময় হাত উঠাবে না। তাশাহহুদও পড়তে হবে না। সিজদার পর সালামও করতে হবে না। এ তাকবির দুটি সুন্নত। উত্তম হলো প্রথমে দাঁড়ানো, তারপর সিজদা করা।
No comments