Adsterra

সরকারি খরচে গাড়ি কেনা ও বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

সরকারি খরচে গাড়ি কেনা ও বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News, bangla news

নতুন অর্থবছরেও কড়াকড়ি থাকছে সরকারি খরচে। ডলার-সংকটের কারণে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের মতো এবারও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত রাখা হয়েছে। গাড়ি কেনায়ও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। আরও বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রেও মানতে হবে কঠোর বিধিনিষেধ।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে খরচে কৃচ্ছ্রসাধনের নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছে।


পরিপত্রে বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় না হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অনুমোদন সাপেক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের দেওয়া স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অংশ নেওয়া যাবে। এ ছাড়া বিদেশি সরকার বা প্রতিষ্ঠান কিংবা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে এবং সম্পূর্ণ তাদের অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণেও অংশগ্রহণ করা যাবে।


চলতি অর্থবছরের পরিচালন বাজেটের আওতায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক কোড থেকে কত অর্থ ব্যয় করা যাবে, তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে। বলা হয়েছে, সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে ব্যয় বন্ধ থাকবে।


এ ছাড়া বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।


পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক বা অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। চলমান নির্মাণকাজ ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।


সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনো ‘টিওঅ্যান্ডই’ভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।


ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। এ ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে ‘জিওবি (বাংলাদেশ সরকার) বাবদ’ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত জিওবির সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।


পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানির পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ডলার-সংকট প্রকট হলে ২০২২ সালের ১২ মে জারি করা পরিপত্রে কৃচ্ছ্রসাধনের নানা নির্দেশনা জারি করা হয়। ওই সময় থেকেই পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষাসফর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ, কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশ্য সেই নির্দেশনার আংশিক শিথিল করা হয় ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।

No comments

Powered by Blogger.