সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে কী বললেন পাপন
বয়স যতই সংখ্যা হোক না কেন, খেলোয়াড়দের কোনো না কোনো দিন তো বিদায় বলতেই হবে। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যর্থতা নিয়ে হচ্ছে অনেক সমালোচনা। তাঁদের অবসর নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকেরা জোর দাবি জানাচ্ছেন।
সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে আলোচনা ডালপালা মেলে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের পর। বার্বাডোজে ২৯ জুন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালসেরা হয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মাও ভারতের জার্সিতে আর কোনো টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কোহলি-রোহিতের পরের দিন রবীন্দ্র জাদেজা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন। যেখানে এবারের বিশ্বকাপে কোহলি-জাদেজা দুজনেরই বয়স ছিল ৩৫ বছর এবং রোহিতের ছিল ৩৬ বছর। যেখানে রোহিত ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে।
রোহিত-কোহলিদের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের সঙ্গে তুলনা করলে সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের ম্লানই মনে হবে। ৩৭ বছর বয়সী সাকিব ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাতেই ছিলেন না আশানুরূপ। আর ৩৮ পেরোনো মাহমুদউল্লাহর যখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে জ্বলে ওঠার প্রয়োজন, সেই মুহূর্তে ব্যর্থ। বিশ্বকাপের পর আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসরের প্রসঙ্গ এসেছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘তাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। এটাও সত্যি ওরা একটা সময় খেলবে না। এক সময়ে ওরা বলতে পারে খেলবে না। বোর্ডও বলতে পারে। তবে এক সঙ্গে হোক। বোর্ডের সঙ্গে বসে ঠিক পরিকল্পনা হোক, কে কখন যাচ্ছে। আমার মনে হয় সেরকমই হবে।’
এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের ক্রিকেটার কীভাবে তৈরি করতে হয়, সেটার জ্বলন্ত উদাহরণ ভারত। শুবমান গিল, রিংকু সিংয়ের মতো তরুণরা উঠে এসেছেন তাদের শক্তিশালী ক্রিকেট কাঠামো থেকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক দশক কাটিয়ে দেওয়ার পরও ‘শেখার সময়’ শেষ হয়নি। তরুণ ক্রিকেটার যাঁরা উঠে আসছেন, তাঁদেরও মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। পাপন বলেন, ‘আমরা একটা রূপান্তরকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি—এতেই অনেক কিছু বোঝা উচিত। সব প্রশ্নের উত্তর এখন দিতে পারব না।’
No comments