ইউরিক অ্যাসিড কমান নিয়ম মেনে
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ ও ব্যথা হতে পারে। একে গাউট বা গেঁটেবাতও বলে। প্রায়ই দেখা যায় বাড়ির বয়স্করা এ ধরনের ব্যথায় জর্জরিত হয়ে থাকেন। হাঁটুতে ব্যথা বা ফোলা ভাব অনুভব করেন তারা। যদিও এখন অনেক অল্পবয়স্ক ছেলে মেয়েদের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৭ মিলিগ্রাম/ডিএল এর উপরে গেলেই বুঝতে হবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যেমন-
১. রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে রেড মিট, অর্গান মিট, সি ফুড খাওয়া কমাতে হবে। এর পাশাপাশি অ্যালকোহল এবং চিনি যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
২. উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপ বা অন্য কোনও ওষুধের জন্যেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার বংশগত কারণেও বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড। নিজেকে সুস্থ রাখতে উচ্চ রক্তচাচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে।
৩. ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ পানিশূন্যতা। এ কারণে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীর পানিমূন্য হয়ে পড়লে কিডনি ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণ করতে পারবে না।
৪. প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শাকসবজি এবং ফলমূল রাখতে হবে। লো ফ্যাট যুক্ত খাবার এবং শস্য দানা ডায়েটে রাখলে ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শরীর চর্চার পাশাপাশি প্রত্যেকদিন ৫ থেকে ১০ গ্রাম ফাইবার খেতে হবে। তা হলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৬. শরীরে অতিরিক্ত ব্যথা যন্ত্রণা বেড়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ এবং ডায়েট ফলো করলে আপনি এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
No comments