Adsterra

রাসেল ভাইপারের দংশনের শিকার হলে যা করবেন

রাসেল ভাইপারের দংশনের শিকার হলে যা করবেন, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News, bangla news

বর্তমান সময়ে নতুন এক আঙ্কের নাম রাসেল ভাইপার। এই সাপের উপদ্রব এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে হরহামেশাই খবর মিলছে এই সাপে দংশনের। এমন পরিস্থিতিতে সাপ কামড় দিলে কি করনীয় তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সাপ কামড় দিলে কি করতে হবে আর কি করা যাবে না।

শুধু রাসেল ভাইপার নয়, যে কোনো সাপের কামড়ের শিকার হলে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে দ্রুত। পরবর্তী করণীয় নিচে তুলে ধরা হলো:


কী করবেন -


* আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার আশ্বস্ত করতে হবে এবং সাহস দিতে হবে, আতঙ্কগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না।

* নির্বিষ সাপের কামড়েও আতঙ্কিত হয়ে মানসিক আঘাতে মারা যেতে পারে মানুষ। বাংলাদেশের অধিকাংশ সাপই বিষহীন, অল্প কিছু সাপ বিষধর। আবার বিষধর সাপ পর্যাপ্ত বিষ ঢুকিয়ে দিতে ব্যর্থ হতে পারে। এসব জানানোর মাধ্যমে রোগীকে আশ্বস্ত করা যেতে পারে।

* আক্রান্ত অঙ্গ অবশ্যই স্থির রাখতে হবে। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ানো যাবে না। পায়ে কামড়ালে হাঁটাচলা করা যাবে না, স্থির হয়ে বসতে হবে।

* আক্রান্ত অঙ্গ ব্যান্ডেজের সাহায্যে একটুচাপ দিয়ে প্যাঁচাতে হবে। একে প্রেসার ইমোবিলাইজেশন বলে। ব্যান্ডেজ না পাওয়া গেলে গামছা, ওড়না বা এ জাতীয় কিছুব্যবহার করা যেতে পারে।

* আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে

হবে।

* ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি পড়ে থাকলে খুলে ফেলুন।

* যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


যেসব কাজ করা যাবে না :

* কোনো ধরনের শক্ত বাঁধন/গিঁট দেওয়া যাবে না। সাধারণত দেখা যায়, হাত বা পায়ে কামড় দিলে, কামড়ানো জায়গা থেকে ওপরের দিকে দড়ি বা এ জাতীয় কিছুদিয়ে শক্ত করে বাঁধা হয়, যাতে বিষ ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক কো নো ভিত্তি নেই। বরং এতে হাত/পায়ে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে -রক্ত প্রবাহের অভাবে টিস্যুতে পচন (Necrosis) শুরু হতে পারে।

* চিকিৎসার জন্য ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে না।

* কামড়ানোর স্থানে ব্লেড, ছুরি দিয়ে কাটাকুটি করা যাবে না।

* অনেক মানুষের ধারণা, আক্রান্ত স্থানে মুখ লাগিয়ে চুষে বিষ বের করলে রোগী ভালো হয়ে যাবেন। বিষ রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা এভাবে বের করা সম্ভব নয়। কো নো অবস্থাতেই আক্রান্ত স্থানে মুখ দেবেন না।

* কোনো ভেষজ ওষুধ, লালা, পাথর, উদ্ভিদের বীজ, গোবর, কাদা ইত্যাদি লাগানো যাবে না।

No comments

Powered by Blogger.