Adsterra

ইউরেনিয়াম : পরমাণুর রাজ্যে ঘুমিয়ে থাকা দানব

ইউরেনিয়াম, পরমাণুর রাজ্যে ঘুমিয়ে থাকা দানব, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news


এক সময় পরমাণু তত্ত্বে বিশ্বাস করতেন না অনেক বিজ্ঞানী। রোজ দুবেলা নিয়ম করে পরমাণু নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতেন তাঁরা। কেউ কারও কথা মানতে নারাজ। ঠিক এ সময় পরমাণুর পক্ষে তাত্ত্বিকভাবে শক্ত এক প্রমাণ হাজির করেন জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন।


ইউরেনিয়াম

ডেমোক্রিটাস মনে করতেন, একটা বস্তুকে ভাঙতে ভাঙতে এমন একটা পর্যায়ে আসবে, যখন বস্তুটাকে আর ভাঙা যাবে না। অর্থাৎ বস্তুটার সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণা পাওয়া যাবে। সেই কণাকেই অ্যাটম বললেন ডেমোক্রিটাস। ভারতীয় পণ্ডিতরাও প্রায় একই সময়ে এরকম অবিভাজ্য কণার নাম দেন পরমাণু। মানে পরম অণু। এখন অ্যাটমকে বাংলায় বলা হয় পরমাণু। আর এ ধারণাকে বলা হয় পরমাণু মতবাদ।


এ মতবাদ অনুযায়ী, জগতের সবকিছুর মূল গাঠনিক একক পরমাণু। মানে একটা বিল্ডিংয়ের একক যেমন ইট, তেমনি মহাবিশ্বের সবকিছুর একক হলো পরমাণু। অর্থাৎ, তুমি-আমি, বাবা-মা, ভাই-বোন, কুকুর-বিড়াল, জীবজন্তু, বইখাতা, বাড়িঘর, খেলনাপাতি, পাহাড়-পবর্ত, গ্রহ-নক্ষত্র সবকিছুই তৈরি হয়েছে অতিক্ষুদ্র পরমাণু দিয়ে।


জার্মান বিজ্ঞানী উইলহেম রন্টজেনের এক্স-রে আবিষ্কার, ফরাসি বিজ্ঞানী হেনরি বেকেরেলের ইউরেনিয়াম থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি আবিষ্কারের ঘটনা। তাঁদের আবিষ্কারের পর ইউরেনিয়াম নিয়ে আগ্রহী হন পিয়ের ও মেরি কুরি দম্পতি। এতে তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে আরও দারুণ কিছু ব্যাপার আবিষ্কার করেন তাঁরা। পরমাণু সম্পর্কেও জানা গেল নতুন কিছু তথ্য। কিছুদিন পরই, ১৮৯৭ সালে ইলেকট্রন নামে একটি কণা আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ পদার্থবিদ জে জে টমসন।


ঠিক এ সময় পরমাণুর পক্ষে তাত্ত্বিকভাবে শক্ত এক প্রমাণ হাজির করেন জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। সেটা ১৯০৫ সালের ঘটনা। এক গবেষণাপত্রে তিনি পরমাণুর অস্তিত্বের প্রমাণসহ পরমাণুর আকার কীভাবে মাপা যাবে, তারও পথ দেখিয়ে দেন। কবছর পর সেই পথ অনুসরণ করে এক বিজ্ঞানী পরমাণুর আকার মেপেও ফেলেন।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, সিটি হেলথ সার্ভিসেস, মোহাম্মদপুর, Dr Abida Sultana, health, fitness,


১৯৩২ সালে আবিষ্কৃত হল পরমাণুর আরেকটি মৌলিক কণা। তার নাম নিউট্রন। এভাবে পাওয়া গেল পরমাণুর গভীরে ক্ষুদ্র জগতের পুরো চিত্রটা। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হলেন, পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস গঠিত হয় প্রোটন ও নিউট্রন কণা দিয়ে। আর তার চারপাশে অনবরত ঘুরতে থাকে ইলেকট্রন।


এভাবেই প্রকৃতির মৌলগুলো গড়ে ওঠে। যেমন হাইড্রোজেন মৌলে থাকে একটি প্রোটন ও একটি ইলেকট্রন। একেই বলা হয় মহাবিশ্বের সবচেয়ে হালকা মৌল। এরপরই আছে হিলিয়াম। এ মৌলে থাকে দুটি প্রোটন ও দুটি নিউট্রন এবং তার চারপাশে ঘোরে দুটি ইলেকট্রন। এভাবে প্রাকৃতিকভাবে ৯২টি মৌল গঠিত হতে পারে। ৯২ নম্বর মৌলের নাম ইউরেনিয়াম।


বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন, পরমাণুকে ভাঙলে বিপুল পরিমাণ শক্তি পাওয়া সম্ভব। সে কাজটা করা হয় পরমাণুর নিউক্লিয়াস লক্ষ্য করে নিউট্রন কণা ছুড়ে। তাতে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় পরমাণু কেন্দ্র। ফলে সেখান থেকে বিপুল শক্তি বেরিয়ে আসে। সঙ্গে ছিটকে বেরোয় আরও কিছু নিউট্রন কণা। এই নিউট্রন কণা আবার অন্য পরমাণুর নিউক্লিয়াসে সজোরে আঘাত হানে। এভাবে শুরু হয় চেইন রিঅ্যাকশন।


No comments

Powered by Blogger.