Adsterra

জীবনে সফল হওয়ার ১০ মূলমন্ত্র বা সূত্র

জীবনে সফল হওয়ার ১০ মূলমন্ত্র বা সূত্র, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

 ১.দায়িত্ব নেওয়া বা টেক রেস্পন্সিবিলিটি : আমরা অন্যের ওপর দায়িত্ব ঠেলে দিই এই ভেবে যে, আমাকে সে সাহায্য করলে আমি সাকসেসফুল হবো। আমাকে যদি কেউ গুছিেেয় দেয়, তাহলে আমার জীবনটা গোছাতে পারবো, আমার প্রতি কেউ যত্নশীল হলে আমি জীবনে এগোতে পারবো। অন্যের ওপর আমরা দায়িত্ব ছেড়ে দিই সে আমাকে হেল্প করলো না, সে আমাকে শিক্ষালো না এভাবেই আমরা নানান কমপ্লেইন করেই আমরা অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপিয়ে দিই। প্রথমতো, আমরাই আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি, গোছাতে পারি, যদি আমি আমার দায়িত্ব নিই। কেউ আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে না। তাই সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তাহলো দায়িত্ব নিতে হবে। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটার দায়িত্ব নিতে হবে। জীবনের সর্ম্পূণ দায়িত্ব নিতে হবে, আল্লাহ পাক আমাদের সেই শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছেন নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার এবং সেভাবে কাজ করার। 


[২] শৃঙ্খলা-শৃঙ্খলা : সূর্য ওঠার সময় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা প্রকৃতিকে উপভোগ করা। সকাল, দপুর, বিকেল, সন্ধ্যা রাত সময়মতো ঘুমিয়ে যাওয়া, শৃঙ্খলা মেনে জীবন যাপন করাটা খুবই গুরুত্বর্পূণ। আত্ম-শৃঙ্খলভাবে জীবনে চলাটাই সাফল্যের একমাত্র উপায় এবং জীবনে লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করে। প্রতিটি সাফল্যের পিছে একটা সিস্টেম আছে। সফল হওয়ার প্রধান ও গুরুত্বর্পূণ উপায় হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা। 


[৩] লক্ষ্য স্থির করা : অনেক বড় কিছু করতে চাই, এভাবে চিন্তা করলে তা ভিক্তিহীন। তাই আমাদের জীবনে বড় কিছু করতে চাওয়ার একটা স্পষ্ট ধারণা আমাদের কাছে ছবির মতো যেন ফুটে ওঠে। ছোট বাচ্চা বা যে কাউকে বোঝানো যায়। সিনেমা বা ডকুমেন্টারি বা বায়োপিক বানানো যায়Ñ এমন করেই আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আমাদের জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের একটা স্পষ্ট ধারণাসম্পন্ন লক্ষ্য স্থির করা খুবই জরুরি।


[৪] টেক অ্যাকশান : জীবনের লক্ষ্য স্থির হওয়ার পরেই অ্যাকশানে যেতে হবে। কাজ না করলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না, বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। ছোট ছোট অ্যাকশন নিলে, দৈনিক একটা একটা স্টেপ নিলে ৩৬৫ দিনে আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন আনবে। নতুন ভাষা শিখলেও দৈনিক একটা করে পড়লে ৩৬৫টি শব্দ শেখা হয়ে যাবে এক বছরে। এভাবেই যদি এটি করে প্রসেস, স্ট্র্যাটেজি , একটা করে নিয়ম শেখা হয় তবে ৩৬৫টি স্টেপ শেখা হয়ে যাবে, যা আমাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন। পাথরের ওপর সারা বছর ঝর্ণার পানি পরলে পাথরেও গর্ত হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আমরাও যদি কোনো কাজ রেগুলারলি করতে থাকি, তাহলে কোনো কাজের ফলাফল আমরা দেখতে পাবো।

আরও পড়ুন - বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা : করনীয়

[৫] ব্যর্থতা : আমরা অল্পতেই ভয় পেয়ে যাই ব্যর্থ হয়ে গেলামÑ এ ধরনের মেন্টালিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। থমাস আলভা এডিসন ৯ হাজার ৯শ ৯৯বার লাইট তৈরি করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন লাইট জ্বলেনি এবং প্রতিবারই তিনি নতুন নতুন পন্থা শিখছিলেন। জীবনে সাকসেস চাইলে ফেইলিউরের সাথে দেখা হবে, এটাই স্বাভাবিক। আরেকটা কথা বলা যায়, আপনি হয়তো জিতবেন, নয়তো শিখবেন। 


[৬] প্র্যাকটিস গ্র্যাটিটিউট বা সন্তুষ্ট থাকা : আমরা যতোই পাই ততোই নাই বলে হা-হুতাশ করি। এমন মন-মানসিকতার হলে যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখতে পারবো না, তাই যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট মনোভাব থাকা জরুরি এবং ইতিবাচকভাবে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ভালো কাজের প্রতি লেগে থাকা এবং সন্তুষ্ট থাকালে মনেও শান্তি বিরাজ করে। [৭] উদ্বুদ্ধ করে ও ইতিবাচক ব্যাক্তির সঙ্গ : আমাদের চারপাশে যে আমাকে উদ্বুদ্ধ করবে এবং কাজের প্রতি ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে তাদের আশেপাশে থাকাই শ্রেয়। একটি কথাই আছে যে, লোহা কিন্তু লোহাকে ধার দেওয়া যায়। যে ব্যক্তিরা জীবনে উন্নতি করছে তাদের আশেপাশে থাকলে আমারাও অনুপ্রাণিত হতে পারবো। 


[৮] কনসিসটেন্টস : আমাদের জীবনের ফলাফল পেতে হলে প্রসেস মেনে চলতে হবে। একজন তার কাজের ফলাফল না পেয়ে হতাশ হলে চলবে না। ভুল হলে তা শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে, লেগে থাকার ফল আল্লাহ দেন। পারিশ্রমিক ছাড়া আল্লাহ তায়ালা কখনোই বিদায় দেয় না। চেষ্টার ফল সবাই পেয়ে থাকে।


[৯] নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া : নিজের ভালো চাইলে মানসিক, আবেগ-অনুভূতি ও শারীরিকভাবে যত্নবান হতে হবে। মানসিক, আবেগ-অনুভূতি ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা আমাদের দায়িত্ব। 


[১০] শিখতে থাকুন : মানুষকে আল্লাহ অল্পজ্ঞান দান করেছেন মানুষ দুনিয়াতে কতো কিছু করছে। আল্লাহ তায়লা যতোখানি দিয়েছেন মানুষকে সেখান থেকে আপনি কতোখানি নিতে পারেন। আপনি আপনার ইউনিক পারর্সন হোন আপনার নাম, ফেস,অভ্যাস, আপনার পরিবার, স্টোরি, শিক্ষা , ফিঙ্গার প্রিন্ট, চিন্তা-ভাবনা কোন কিছুর মিল নেই। কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ দিতে হবে। নিজের কাজকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই আপনাকে মানুষ চিনবে। যে লাইনে কাজ করছেন তার চূড়ায় যেতে হবে এবং শিখতে হবে। 


সাবিত রায়হান. মাইন্ড ট্রেইনার। 

No comments

Powered by Blogger.