যেই ক্ষতি হয়ে গেছে কোনো মতেই পূরণীয় নয় : আইজিপি
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ‘সম্প্রতি যেই ঘটনা ঘটে গেছে, এখানে আমাদের অসংখ্য ছাত্র–জনতা নিহত হয়েছে। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। জানমাল রক্ষার জন্য তাঁদের আত্মাহুতি দিতে হয়েছে। এই কষ্ট যেমন আপনার, সেই কষ্ট আমাদের প্রত্যেকের। এখন যেই ঘটনা হয়ে গেছে, যেই ক্ষতি হয়ে গেছে—এই ক্ষতি কোনো মতোই পূরণীয় নয়!’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন নবনিযুক্ত আইজিপি। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন, তাঁর ক্ষতিপূরণ আমরা কোনোভাবে দিতে পারব না।’
১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে এবং তাঁদের অভিযোগ শুনতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে উপস্থিত হয়েছেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদেরও যাওয়ার কথা। তাঁরা ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে, দাবিগুলো বিবেচনা করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে আজ রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলায় কিছু কিছু থানায় পুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
অধস্তন পুলিশ সদস্যদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
রাজনৈতিকভাবে যাতে পুলিশকে ব্যবহার করা না যায় এ কারণে কমিশন গঠন; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে; পুলিশ কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দলের অধীনে কাজ করবে না, পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের জনগণের সেবা তথা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে; সারা দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করানো যাবে না; অধস্তন কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো অবৈধ বা মৌখিক আদেশ পালন করতে পারবেন না; অধস্তন কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির মতো পন্থা অবলম্বন করতে হবে; বার্ষিক নৈমিত্তিক ছুটি ২০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন করতে হবে; ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতো অধস্তন কর্মচারীদের সোর্স মানি দিতে হবে; বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে ১০ তারিখের মধ্যে টিএ এবং ডিএ বিল পরিশোধ করতে হবে; নতুন বেতন স্কেল প্রণয়ন করতে হবে, ঝুঁকিভাতা বাড়াতে হবে; পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেকটি পুলিশ লাইনস, থানা, ফাঁড়ি, গার্ড, ক্যাম্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে।
No comments