Adsterra

ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হওয়ার যে আট পরামর্শ দিচ্ছেন বিখ্যাত নারীরা

  

ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হওয়ার যে আট পরামর্শ দিচ্ছেন বিখ্যাত নারীরা, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla

সফল হওয়া সহজ কাজ নয়। নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের জন্যই কঠিন কাজ সেটি। একজন নারীর জন্য সেটা আরো কঠিন।

কিন্তু সফল আর জ্ঞানী হিসেবে পরিচিত বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত নারী বলছেন জীবনে কয়েকটি মূলমন্ত্র অনুসরণ করতে পারলে তা যে কাউকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।

১. সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন

জীবনের যে ক্ষেত্রেই আপনি সফল হতে চান, আপনাকে নিজের যত্ন নিতে শিখতে হবে। যদি আপনি নিজেকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে না পারেন, তাহলে আপনি জীবনের ভারসাম্য খুঁজে পাবেন না। সফল হতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী জরুরী। এরপরই আসবে আপনার সবচাইতে কাছের মানুষেরা, মানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষেরা। তাদের জীবনের দৈনন্দিন খবরাখবর রাখুন। যদিও হয়ত রোজ এ কাজটি করা কঠিন, তবু চেষ্টা করুন। এর পর শুরু করুন নিজের কাজ।

২. সামনে এগিয়ে যাওয়া থামাবেন না

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের নিজেকে সবসময় পর্বতারোহী মনে করেন। "একজন পর্বতারোহী যখন ওপরে উঠতে থাকেন, তিনি পিছলে পড়েন, দুই তিন ধাপ নিচে নেমে যান। কিন্তু ওপরে ওঠা থামান না তিনি। আমি সেরকম, পিছলে পড়ি কিন্তু ওপরে ওঠা থামাই না আমি, কোনদিন থামাবও না।"

 

৩. অন্যরা কী ভাবছে তা ভাবার দরকার নেই

অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী পাত্তা দেবার অত দরকার নেই। কারণ নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারণা তা অন্যের অনুমোদনের ছাড়াই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। আমি ভাবি না অন্যেরা আমার সম্পর্কে কী ভাবছে। আমি আমার নিজের চেহারা পছন্দ করি, কিন্তু আরো বহু মানুষ তা পছন্দ করে না বলেই মনে হয়। আমি বিশ্বাস করতে শিখেছি, আমাকে কেমন দেখায় সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার বন্ধু বা যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেও সেটা ততটা বড় ব্যপার না। এটা মনে রাখা জরুরী বলে আমি মনে করি।

৪. ব্যর্থতা জীবনের শেষ কথা নয়

কোন কাজে ব্যর্থ হলে ভাববেন না আপনার জীবন শেষ। বরং ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা 'কমা' মানে স্বল্প বিরতি, 'ফুলস্টপ' বা শেষ নয়। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব লিলি কলিন্স বলছেন, আমি সব সময় নিজেকে বলি, কোনকিছু 'নেতিবাচক' হওয়া মানে সেটা 'না' হয়, বরং সেটা হচ্ছে 'এখন নয়'। এখন বা এই মুহূর্তে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন কিছু কাল হবে না, তার কোন মানে নেই।

 

ডা. আবিদা সুলতানা এখন নিয়মিত রোগী দেখছেন সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতালে। প্রতি শনি থেকে বৃহস্পতিবার, বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। ঠিকানা - ৭৭২/১-এ, বসিলা রোড,  ময়ূরভিলা সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর বাসস্টান্ড, ঢাকা। সিরিয়ালের জন্য কল করুন : ০১৭৪৫৬৭৬৯২৯

৫. ইতিবাচক মানুষের চারপাশে থাকুন

বিপণন গুরু বলে পরিচিত মেরি পোরটাস বলছেন, কারো চারপাশে যদি ইতিবাচক মানুষ সব সময় থাকে, তাহলে নিজের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকার কথা নয় তার। "আমার এজেন্সিতে আমরা এমন মানুষ নিয়োগ দেই, যারা আলো ছড়ান চারপাশে, যারা অন্যকে হীনমন্যতায় ডুবিয়ে দেন তাদের নয়।" তিনি বলছেন, "যারা সব সময় সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকেন, সব কাজ 'পারব' বলে রাজি হয়ে যান ও সেটা পাবার জন্য নিজের সেরাটা দেন এমন মানুষ পছন্দ আমাদের। যারা নিজেরা এনার্জিতে ভরপুর থাকেন, তারা অন্যকেও উৎসাহ দিতে পারেন। যদি উন্নতি করতে চান, তাহলে যারা মনমরা থাকেন বা অহমপূর্ণ আচরণ করেন তাদের থেকে দূরে থাকুন।

 

৬. মাথা খাটান

অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের বলেন, যেকোন পরিস্থিতিতে নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন। আমার মা বলতেন আমরা কোথায় যাব জানি না, আমাদের জীবনে কী ঘটবে আমরা জানি না। কিন্তু আমাদের মাথার ভেতরে কী আছে সেটা যেমন অন্যরা জানে না, তেমনি সেটা কেউ ছিনিয়ে নিতেও পারবে না।" "আমি অ্যামেরিকায় এসেছি শূন্য হাতে, ইংরেজি জানতাম না। কিন্তু দেখুন আমি এই দেশের একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স নিয়ে স্নাতক পাস করেছি। আমি সবাইকে বলি মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তার মাথা খাটানোর ক্ষমতা।

 

৭. নিজেকে মাঝে-মধ্যে ছুটি দিন

মার্কিন লেখক মেশেল লোরি বলছেন, একজন মানুষ সব সময় একই রকমভাবে সফল হবে না, সেটা সম্ভব নয়। আর সফল না হতে পারলে মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। আমাদের সব সময় শেখানো হয় আমাদের সবকিছু পারতে হবে। আমাদের সব সময় সৃষ্টিশীল হতে হবে। কিন্তু আমাদের তো বিশ্রাম আর নতুন করে ভাবার জন্যেও সময় চাই। নিজের ভেতরকার শূণ্যতা পূরণের জন্য সময় দরকার একজন মানুষের, সেই সাথে নিজের কাজকর্ম মূল্যায়নের জন্যেও তো অবসর লাগে। সেটা দিনের শেষে পাঁচ মিনিট সময় হতে পারে, আলাদা করে ভাবুন সারাদিনে কী কী কাজ করলেন, কেমন ভাবে করলেন, আরো ভালোভাবে কিভাবে করা যেত। এই সময়ে ফোন ঘাটা বাদ দিয়ে, টিভি না দেখে কেবলই নিজেকে কিছুটা সময় দিন।


ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।

ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health, 

No comments

Powered by Blogger.