বন্যায় বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় যে সতর্কতা মানা উচিত
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া লাখো মানুষ জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে আশে-পাশের আশ্রয়কেন্দ্রে।
বন্যার সময় পানিতে ডুবে যাওয়া, বিশুদ্ধ পানীয়সহ খাবার এবং নানা-ধরনের স্বাস্থ্য সংকটে পড়েন বন্যার্তরা। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দেয় বন্যা পরবর্তী সময়ে। সে সময়ে নানা ধরণের রোগ-বালাইসহ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অনেক রকমের দূর্ভোগে পড়েন মানুষ।
বিশেষ করে বন্যার সময় বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বন্যা পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
জেনে রাখতে হবে বন্যার আগে ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।
বন্যার আগে
বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ার আগেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সুইচবোর্ড, ইলেকট্রনিক ডিভাইস সব নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। পাশাপাশি বাড়ির বৈদ্যুতিক প্রধান সুইচ বন্ধ করে রাখা উচিত। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঘরের বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করে যাবেন।
বন্যার পর
১. বন্যা পরবর্তী সময়ে ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন, এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে।
২. বাড়িতে পৌঁছেই মেইন সুইচ চালু করে দেওয়া উচিত নয়। সবকিছু ভালোমত পরীক্ষা করে তারপর বিদ্যুৎ চালু করা উচিত।
আরও পড়ুন - বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা : করনীয়
৩. বাড়িতে ফিরে ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক সুইচ ধরবেন না বা বিদ্যুতের কোন কাজ করবেন না।
৪. ভেজা মাটিতে খালি পায়ে বৈদ্যুতিক কোন কাজ করার চেষ্টা করবেন না। এতে করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৫. সম্ভব হলে পুরো বাসা ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
৬. ইলেকট্রিশিয়ান বাসার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরাপদ বললে তারপর বাসায় বিদ্যুৎ চালু করা উচিত।
৭. যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ভিজে গেছে সেগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।
No comments