Adsterra

শিশুর ক্যালসিয়াম পূরণে কী কী খাওয়াবেন?

শিশুর ক্যালসিয়াম পূরণে কী কী খাওয়াবেন, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকেন সব বাবা-মা। শিশু কী খাবে, কতটা খাবে আর কখন খাবে— এই নিয়ে সবসময় চিন্তা করতে হয়। শিশু রোজ যা যা খাচ্ছে, তার থেকে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছাচ্ছে কি না এটি জানাও খুব জরুরি।

বাড়ন্ত শিশুকে হাড়ের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য সুষম আহার দিতেই হবে। আর বিশেষ করে শিশুর খাদ্যতালিকায় নিয়মিত ক্যালসিয়াম রাখতেই হবে। রোজ কোন কোন খাবার তালিকায় রাখলে শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাব হবে না, তা জেনে নিন।


১. দুধ

সুষম খাবারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে গরুর দুধ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। শিশুকে রোজ নিয়ম করে দুধ খাওয়ানো উচিত। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে বা দুধ হজম না হয়, তা হলে দুধের তৈরি খাবার অর্থাৎ পনির, দই, ছানা, মাখন এ সব রাখুন শিশুর খাদ্যতালিকায়।


২. মটরশুটি

মটরশুটির দানায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা শিশুর হাড়ের পুষ্টি ও গঠনে বিশেষ সহায়ক। সাধারণত, এটি শিতের সবজি, তাই শীতে শিশুর খাবারে মটরশুটি রাখতে হবে। ব্রোকোলিও তাই। অনেক শিশুই ব্রোকোলি খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ব্রোকোলি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিন। কয়েক টুকরো মুরগির মাংস সিদ্ধ দিয়ে দিন তাতে। অল্প করে মাখন দিয়ে গরম স্যুপ মজা করে খাবে শিশু।


৩. পিনাট-আমন্ড বাটার

পিনাট বাটারেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। তবে খেতে ততটা সুস্বাদু নয় বলে অনেক শিশুই খেতে চায়না। সে ক্ষেত্রে পাউরুটির মুচমুচে টোস্ট বানিয়ে তার মধ্যে পিনাট বাটার দিয়ে দিন। গরম আটার রুটি রোল করে ভেতরে পিনাট বাটার দিয়ে শিশুকে নাস্তা দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া এমনি বাটের বদলে পাউরুটিতে আমন্ড বাটার ও দেয়া ভালো। আমন্ড বা কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ১/৩ কাপ কাঠবাদামে প্রায় ২৬৪ মিলিগ্রাম মতো ক্যালসিয়াম মেলে। সন্তানকে দুধের সঙ্গেও কয়েক টুকরো কাঠবাদাম মিশিয়ে দেয়া ভালো।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, সিটি হেলথ সার্ভিসেস, মোহাম্মদপুর, Dr Abida Sultana, health, fitness,
                                           
                                                ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই


৪. মাছ-ডিম

মাছেও প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে। শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হলে তার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মাছ রাখা উচিত। কাতলা, ভেটকি, কই মাছে ভাল পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। মাছের পাশাপাশি শিশুকে প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খাওয়ানো উচিত। সকাল ছাড়াও দিনের যে কোনও সময়ই ডিম দিতে পারেন শিশুকে। একটি সিদ্ধ ডিমে ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।


৫. দই

শিশুর নিয়মিত খাবারে দই রাখতেই হবে। দই খুব ভাল প্রোবায়োটিক। দইতে প্রচুর ক্যালসিয়ামও থাকে। শিশু স্কুলে গেলে টিফিন বক্সে বাকি খাবারের পাশাপাশি টক দইও দিয়ে দিন। ২০০ গ্রাম দই থেকে প্রায় ২৮০-৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।


৬. পনির

অনেক শিশু নিরামিষ পছন্দ করে, মাছ-ডিমে খেতে চায় না সহজে। সেক্ষেত্রে, পনির বা ছানা খাওয়ান শিশুকে। ছোট ছোট টুকরো করে কাটা ১০০ গ্রাম বা এক বাটির মতো পনির খেলেই তার থেকে ৪৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাবে শিশু।


৭. ফল বা ফলের রস

টাটকা ফলের রসও দিন শিশুকে। এক গ্লাস কমলালেবুর রস থেকে ৬০ মিলিগ্রামের মতো ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সকালের নাস্তায় ফলের রস খাওয়া সবচেয়ে ভালো। একদিন দুধ আরেকদিন ফলের রস, এভাবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাবার দিলে শিশুর অরুচি হবে না।


ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.