সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে
একটা দেশের প্রাণ বা একটা দেশ দাঁড়িয়ে থাকে শিক্ষা ও সুস্থ সংস্কৃতির ওপর। গত ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরের মতো সংগীত জগতেও নানা অনিয়ম দুর্নীতিসহ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। এই সিন্ডিকেট খারাপ, এখানে নানা বঞ্চনা, লাঞ্ছনার বিষয় থাকে। একটা সিন্ডিকেট ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এখন সময় এসেছে এই সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলার। এখন সময় এসেছে সবকিছু নতুন করে সাজানোর, আমরা মনে করি আমাদের সংগীত জগৎকে সুন্দরভাবে সাজানো যাবে। সকল সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে এমনটাই মনে করেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান। মনির খান মনে করেন, একটা দেশের প্রাণ, বা একটা দেশ দাঁড়িয়ে থাকে শিক্ষা ও সুস্থ সংস্কৃতির ওপর। তিনি বলেন, আমরা যদি শিক্ষার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির গঠনে কাজ করি তাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম সুন্দর ও সুস্থ একটি জীবন পাবে, আমাদের সামাজিক জীবন হবে মসৃণ। তাই আমাদের সুস্থ সংস্কৃতি গড়ে তোলার পেছনে যে অন্তরায় আছে সেসব দূর করতে হবে। হিংসা হানাহানি এসব বাদ দিয়ে আমাদের নতুন আগামীর জন্য নতুন সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
দেশের এই বদলে যাওয়ার পেছনে তিনি শিক্ষার্থীদের অবদানের ব্যাপকতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন, একই সঙ্গে মনে করেন তারা জীবন দিয়ে যে ত্যাগের ইতিহাস রচনা করেছেন তা অতুলনীয়। মনির খান বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীরা গত ১৫ বছর ধরে চলে আসা অন্যায়, অবিচার, অনৈতিকতাকে যেভাবে প্রতিরোধ করেছে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তা অনন্য, তা নজিরবিহীন। এদের অনেকেই শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাদের এই ঋণ কখনোই শোধ হওয়ার নয়। রক্ত দিয়ে যে ঋণ তৈরি করা হয় তা শোধ হওয়ার নয়।’
গত ১৫ বছরে বেশ কিছু মামলার শিকার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় এই শিল্পী। যার সবগুলোই হয়রানিমূলক। এছাড়াও সরকারি কোনো প্রচার মাধ্যমেও গাইতে দেওয়া হয়নি শিল্পীকে। এ বিষয়ে মনির খান বলেন, আমি গত ১৫ বছরে যে ধরনের মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি তার সঙ্গে কীসের তুলনা করব? শুধু বুকে চেপে সময় পার করেছি। মনের ব্যথা কাউকে বলার মতো নয়, নিজের কাছেই আমি লজ্জিত ছিলাম। আমাকে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এসবে গান গাইতে দেওয়া হয়নি। সরকারি কোনো আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো না। এটা আশাও করিনি। কিন্তু বেসরকারিভাবে অনেক আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো না। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারেও আমি আমন্ত্রণ পাইনি এসব আমি বুকের মধ্য বহন করে চলেছি ১৫ বছর। এখন আমার বুকটা অনেক হালকা লাগছে।
মনির খান নিয়মিত গান করছেন। প্রতি মাসে নিয়ম করে তার চারটি গান প্রকাশ হয়। যারা মনির খানকে অনুসরণ করেন তারা জানেন, যে তার দুটো ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এই দুটো চ্যানেলে দুটি করে গান প্রকাশ হয়ে আসছে। এছাড়াও দেশ বিদেশে নিয়মিত শো করছেন। মনির খান বলেন, যারা আমার ভক্ত রয়েছেন তারা নিয়মিত আমার গানের আপডেট পান। কেননা আমার দুটো ইউটিউব চ্যানেলে প্রতি মাসে চারটা গান রিলিজ করি আমি। আমার ভক্তরা জানেন বিষয়টি। এছাড়াও দেশের বাইরে শো করছি। দেশে ছাত্র আন্দোলনের আগে আমি ইউরোপ সফরে ছিলাম। এরমধ্যে লন্ডনে ৯দিন ছিলাম। এ সময়গুলোয় আমি বিভিন্ন শো করেছি। আর এখন তো দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি বিভিন্ন শো শুরু করব।
No comments