চাই ইচ্ছার সফল বাস্তবায়ন
অদম্য ইচ্ছাশক্তি সাফল্যের অন্যতম সোপান। এই ইচ্ছাশক্তি যার রয়েছে,
বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও তারই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু অনেক সময় মানুষ তার ইচ্ছাশক্তিকে
জাগ্রত করতে পারে না। যদি লুকিয়ে থাকা অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে জাগিয়ে তোলা যায়, তাহলে
যেকোনো সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’ সেই আদিকাল থেকেই এ প্রবাদ
মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, ইচ্ছা নামক এই অফুরন্ত শক্তি প্রত্যেক
ব্যক্তির মাঝেই লুকিয়ে থাকে। ইচ্ছা করলেই যেকোনো মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে পারে।
কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হয়েও সাফল্যকে ছিনিয়ে আনতে পারে। তার জ্বলন্ত উদাহরণ যশোরের
ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন
শিল্পীর মেয়ে তামান্না আক্তার নূরা। সব প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে দিয়ে এক পায়ে লিখে
প্রাথমিক-মাধ্যমিকের মতো এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন এই অদম্য
শিক্ষার্থী।
বলা সংগত, ইচ্ছাশক্তির বলে প্রতিবন্ধকতার পাহাড় মাড়িয়ে অনেকেই সাফল্য
ছিনিয়ে এনেছেন। আমাদের চারপাশে এ রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। ইচ্ছাশক্তি প্রবল থাকলে
শুধু পা দিয়ে লিখেও জিপিএ ৫ পাওয়া সম্ভব। সেই প্রমাণ দিয়েছেন যশোরের ঝিকরগাছা
উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের মেয়ে তামান্না। জন্ম থেকে দুটি হাত নেই; নেই ডান
পা। শুধু বাঁ পা দিয়ে লিখে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন তামান্না। এসএসসির মতো
এইচএসসিতেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছেন তিনি। একই ফল করেছিলেন পিইসি ও
জেএসসিতেও। তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান
বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করেছিলেন। পরীক্ষার ফল পাঁচে পাঁচ।
No comments