জীবনসঙ্গী বেশি কথা বললে যা করবেন
কথায় আছে, ‘সাইলেন্স কিলস রিলেশন’। তাই দাম্পত্য জীবনে মুখ খোলা রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। তাই বলে অতিরিক্ত বকবক করাও ভালো নয়। কানের সামনে এক কথা বারবার বললে শুনতে কার ভালো লাগে? মুশকিল হল, কিছু নারীর মুখের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তারা সারাদিন বক বক করতে থাকেন। স্ত্রীর এমন আচরণ দাম্পত্যে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকী সঙ্গীর মনে গভীর ক্ষত তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এক্ষেত্রে এই কয়েকটি সহজ নিয়মে স্ত্রীর মুখের লাগাম টানতে পারবেন।
বুঝিয়ে বলুন
স্ত্রীর বকবকানি যে আপনার পছন্দ হয় না, তা কখনো তাকে বলেছেন? মনে হয় বলেননি, কারণ আবার যদি বকবক শুরু করে এই ভয়ে সাহসই হয়নি। তাহলে কি করে আশা করেন তিনি নিজেকে বদলে ফেলবেন! আর যাই হোক, তিনি তো আপনার মনের অন্দরের কথা পড়তে পারছেন না! তাহলে বুঝতেই পারছেন, ভুল রয়েছে আপনার চিন্তা-ভাবনাতেই। এতে উভয়ের মনে তৈরি হতে পারে বিশ্বাসের ঘাটতি। তাই আজই স্ত্রীকে ভালো মতো বুঝিয়ে বলবেন। নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভের কথা খুলে বলুন। বকবক করলে আপনার যে অসহ্য লাগে, তা জানান। এভাবে কয়েকদিন তার কানের সামনে এক কথা বলে গেলেই পরিবর্তন আসতে বাধ্য।
আরও পড়ুন - বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা : করনীয়
চুপ থাকুন
বুঝিয়ে বলার পরও যদি বকবক করতেই থাকে, তাহলে আপনাকে চুপ করে থাকবেন। এবার থেকে তিনি এক কথা বারবার বললেই আপনি চুপ করে যান। এমনকি পারলে সেই জায়গা ছেড়ে উঠে যেতেও পারেন। তাতেই দেখবেন স্ত্রীর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা যাবে। তিনি এরপর থেকে এই ধরনের আচরণ করার আগে হাজারবার ভাববেন। এমনকি তিনি নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টাও করতে পারেন।
স্থান ত্যাগ করুন
ছুটির দিনে আপনি বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন, এই সময় হঠাৎ করেই স্ত্রীর আগমন। পাশে বসেই শুরু করলেন বকবকানি। এই পরিস্থিতিতে শান্ত বালকের মতো স্ত্রীর সব কথা হজম করলে চলবে না। বরং অর্ধাঙ্গীনির বকবক কিছুটা সময় দীর্ঘায়িত হলেই বিছানা ছেড়ে উঠে যান। এভাবে কয়েকদিন করতে থাকুন। এতেই দেখবেন স্ত্রী তার বদভ্যাস বদলে ফেলার চেষ্টা করবেন।
রাগের মাথায় কিছু করবেন না
সাধারণত বেশি কথা বলা মানুষ খোলা মনের হয়ে থাকেন। তাদের মনে প্যাঁচ থাকে না। তাই ছোটখাট বিষয়ও তাদের হৃদয়ে গভীর আঘাত করতে পারে। ফলে হঠাৎ করে সকলে একত্রে তার সঙ্গে কথা কমিয়ে দিলে তিনি হয়তো নিজেকে বড্ড একা মনে করতে পারেন। এমনকি ভুগতে পারেন একাকিত্বে। আর এর ফলাফল কিন্তু ভালো নয়। এমন পরিস্থিতিতে দাম্পত্যের ভিত পর্যন্ত নড়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে ধীরে সুস্থে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হবে। তাহলেই দেখবেন সাপও মরবে, আর লাঠিও ভাঙবে না।
কথায় কান দেবেন না
কিছু সময় সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকাতে হয়। তাই এতকিছু করার পরও যদি স্ত্রীর মধ্যে কোনও পরিবর্তন না আসে, তাহলে এরপর থেকে আপনিও কথার খেলাপ করুন। তাকে দেওয়া কোনও কথাই রাখবেন না। আর এই কাজটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই করুন। হলফ করে বলতে পারি, আপনি এই পথে অগ্রসর হলেই অচিরেই ফিরবে স্ত্রীর মতিগতি। তাই ঝটপট এই কাজে নেমে পড়ুন।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
অনেক সময় আপনি শত চেষ্টা করার পরও পরিস্থিতি শুধরে দিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তাঁর কাছে গোটা বিষয়টা খুলে বলুন। তাঁর পরামর্শ মতো চলতে বলুন স্ত্রীকে। ব্যস, তাহলেই অনায়াসে এই সমস্যার সহজ সমাধান করে ফেলতে পারবেন। তারপর আবার একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
No comments