সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার পাঁচ টিপস
সম্পর্ক বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ হলো দুজনের মধ্যে মিল ও যোগাযোগের অভাব। সারাদিনের ব্যস্ততা স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দেয় না। এর ফলে দুজনের মধ্যে মন খারাপ থেকে রাগারাগি, তারপর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না।
তবে এ থেকে রেহাই পেতে পারেন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিরা। সকালে ঘুম থেকে ওঠা দম্পত্তিরা সকালে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন যদি এ অভ্যাস গড়ে তোলা যায় তবে তারা একসাথে কিছু ভালো সময় কাটাতে পারেন। গবেষণায় জানা গেছে, নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিরা চাপ কমাতে পারে, শারীরিক শক্তি বাড়াতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে পারে।
যেসব দম্পতি সকালে ঘুম থেকে ওঠতে পারেন, তারা নিজেদের মধ্যে ভালো একটা বন্ধন তেরি করতে পারেন। আর এই বন্ধনই হচ্ছে জীবনের জন্য বন্ধন। তাহলে জেনে নিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে কী কাজ করলে নিজেদের মধ্যে বন্ধন তৈরি হবে।
চা খেতে খেতে গল্প
এক কাপ কফি বা চা নিয়ে দুজন একসঙ্গে অনেক গল্প করতে পারেন। এ সময় চাইলে নিজেদের কাজ কর্ম নিয়েও আলোচনা করতে পারেন।
এছাড়া নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, বিভিন্ন স্মৃতি এবং একে অপরের কাছ থেকে নিজেদের প্রত্যাশা সম্পর্কেও কথা বলতে পারেন। সকালে একসঙ্গে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস হতে পারে সম্পর্ককে ভালো রাখার একটি সেরা উপায়।
সকালে হাঁটা
পাখির কিচিরমিচির ও সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে কিছু সময় ব্যয় করার অভ্যাস হতে পারে সম্পর্ক ভালো রাখার আরেকটি ভালো অভ্যাস। একসঙ্গে দুজন এ অভ্যাসটি করতে পারলে এবং এ সময় নিজেদের মধ্যে ইতিবাচক কথাবার্তা বললে সম্পর্ক ভালো থাকবে। এ ছাড়া মর্নিং ওয়াক শুধু আপনার শারিরীক সুস্থতাই নয় বরং দুজনের মানসিক ঘনিষ্ঠতাও বৃদ্ধি করবে।
একসঙ্গে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে দুজন কিছু ভালো সময় কাটাতে পারবেন। শরীর ফিট রাখা আর সুস্থতা তো বোনাস হিসেবে ধরাই যেতে পারে।
একে অপরকে সঙ্গ দিন
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সঙ্গ দিন এবং একে অপরের উপস্থিতিতে নিজেদের অবদানগুলোর প্রশংসা, কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা ও একে অপরের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন। এর ফলে নিজেদের মধ্যে নিজেদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি হবে। এটি বিভিন্ন ধরণের চাপ থেকেও নিজেদের রক্ষা করবে।
দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা
নিজে নিজের প্রতিদিনের কাজের পরিকল্পনা করার পরিবর্তে সঙ্গীর সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। এতে পরিকল্পনাও হবে এবং সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোও হবে। বা নিজের পরিকল্পনার কথা সঙ্গীকে বলতে এবং সঙ্গীর পরিকল্পনা নিজে শুনতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারেন। এতে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরো গাড় হবে।
একসঙ্গে সকালের নাস্তা তৈরি করুন
দিনের প্রথম খাবার তৈরি করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করবেন না। নিজেদের জন্য একটি পুষ্টিকর নাস্তা তৈরি করতে সময় নিন এবং একসঙ্গে নাস্তা করুন। রান্নাঘরে একে অপরকে সাহায্য করতে পারেন। এতে শুধু গৃহস্থালির কাজই কমে না, দুজনের সম্পর্ককে আরো গাড় করে দেয়। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ আরো বেড়ে যাবে।
No comments