Adsterra

জুমার দিনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব

জুমার দিনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News, bangla news,

আল্লাহতায়ালা সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমার দিনকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহতায়ালা কোরআনে ‘সুরা জুমা’ নামে একটি সুরার নামও রেখেছেন। যার দ্বারা এই দিনের গুরুত্ব ও মর্যাদা আরও বেড়ে গেছে। জুমার দিনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের অনন্য কিছু দিক তোলে ধরা হলো।


সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন : জুমার দিনটি হলো সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন। হজরত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সূর্য উদয়ের দিনগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়। তাকে এই দিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং জান্নাত থেকে এই দিন বের করা হয়। আর কিয়ামতও হবে জুমার দিনেই। (সহিহ মুসলিম ১৮৬১)


ঈদের দিনের মতো মর্যাদাবান : জুমার দিনের মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো। হজরত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহতায়ালার কাছে অধিক সম্মানিত। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা অপেক্ষাও তা আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন।’ (ইবনে মাজাহ ১০৮৪)

আরও পড়ুন - বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা : করনীয়


কোরবানির সওয়াব : জুমার দিনে আগে আগে মসজিদে গেলে কোরবানির সওয়াব পাওয়া যায়। হজরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে প্রথম মসজিদে উপস্থিত হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল। তৃতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, সে যেন একটি ছাগল কোরবানি করল। এরপর চতুর্থ যে ব্যক্তি মসজিদে গেল, সে যেন একটি মুরগি সদকা করল। আর পঞ্চম যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, সে যেন একটি ডিম সদকা করল। এরপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বারে খুতবার জন্য বসে গেলেন, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যায়।’ (সহিহ বুখারি ৮৮১)


গোসলে গুনাহ মাফ : জুমার দিন জুমার উদ্দেশে গোসল করলে গুনাহ মাফ হয়। হজরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই জুমার দিনের গোসল চুলের গোড়া থেকে গুনাহসমূহকে টেনে বের দেয়।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব ১০৬০)


জুমার নামাজে গুনাহ মাফ : জুমার নামাজের মাধ্যমেও গুনাহ মাফ হয়। হজরত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জুমার দিন যে ব্যক্তি গোসল করে। অতঃপর জুমার জন্য যায় এবং সামর্থ্য অনুযায়ী (নফল) নামাজ আদায় করে, এরপর ইমাম খুতবা সমাপ্ত করা পর্যন্ত চুপ থাকে, এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায় করে, তবে তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ মুসলিম ৮৫৭)


অন্য একটি হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং এক জুমা থেকে অপর জুমা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের সব গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি সে কবিরাহ গুনাহে লিপ্ত না হয়। (সহিহ মুসলিম ৪৩৮)


জুমার দিন দোয়া কবুল হয় : হজরত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জুমার দিনে অবশ্যই এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করলে নিশ্চয়ই তিনি তাকে তা দান করেন।’ (সহিহ মুসলিম ১৮৫৮) অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সেই সময়টি হচ্ছে ইমামের (মিম্বারে) বসা থেকে নামাজ শেষ হওয়ার মাঝামাঝি সময়।’ (সহিহ মুসলিম ৮৫৩) অপর এক বর্ণনায় এসেছে, ‘জুমার দিনের যে মুহূর্তটিতে দোয়া কবুলের আশা করা যায়, তোমরা সে মুহূর্তটি আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে তালাশ করো।’ (জামে তিরমিজি ৪৮৯)

No comments

Powered by Blogger.