Adsterra

সম্পর্ক সুন্দর রাখতে যে কাজগুলো করতে পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানী

সম্পর্ক সুন্দর রাখতে যে কাজগুলো করতে পরামর্শ দিঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news,

বিভিন্ন ধরণের ত্বকের সমস্যার মধে মেচতা নিয়ে ভুগছেন অনেকেই। কেউ এই সমস্যার কারণে বিব্রত বোধ করে। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে  গালের দুই দিকে কালো বা খয়েরি, হালকা বাদামি দাগের মতো করে মেচতা পড়ে থাকে। তবে চিবুক, নাক, কপাল, এমনকি বাহুতেও মেচতা দেখা দিতে পারে। মেচতার সমস্যার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান। 


কেন মেচতা হয়: অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান জানান, সাধারণত ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মেচতা হওয়ার হার  তুলনায় বেশি। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রায়ই মেচতা সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।

মেচতার পেছনে প্রধানত দুটি বিষয় কাজ করে। প্রথম কারণ হলো হরমোন। গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে মেচতা দেখা দেয়। আবার জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলেও মেচতা হয়। মেনোপজের পর যারা হরমোন থেরাপি নেন, তাঁদেরও মেচতা হতে পারে। হাইপোথাইরয়েড রোগীদেরও মেচতা হয়।


দ্বিতীয় কারণ হিসেবে এই চিকিৎসক উল্লেখ করেন আলোর সংবেদনশীলতা। তিনি জানান, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বা ইনফ্রারেড রশ্মির সংস্পর্শে মেচতা হয়। এমনকি ল্যাপটপ, মুঠোফোন বা টেলিভিশনের এলইডি স্ক্রিনের অতি সংস্পর্শে এটি বাড়তে পারে। কিছু ওষুধ যেমন ব্যথানাশক, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, রেটিনয়েড, ডাইউরেটিক, টার্গেটেড থেরাপি বা অ্যান্টি–সাইকোটিক ত্বককে অতি আলোক সংবেদনশীল বা ফটোটক্সিক করে তোলে। কিছু প্রসাধনী বা সুগন্ধি সাবানও আলোক সংবেদনশীলতা বাড়ায়। পারিবারিক ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ।


মেচতা হলে কী করবেন: মেচতা হওয়ার পেছনে কোনো কারণ আছে কি না  এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা কোনো হরমোন পিল, কোনো ইরিটেটিং প্রসাধনী বা সাবান ইত্যাদি। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তা সমাধান করতে হবে। গর্ভকালে মেচতা হলে অনেক সময় সন্তান প্রসবের তিন মাসের মধ্যে সেরে যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির জন্য মেচতা হয়ে থাকলে তা বন্ধ করার তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে কমে আসে।


অন্যদিকে, সরাসরি সূর্যালোক থেকে মুখের ত্বককে সুরক্ষা দিতে হবে। সূর্যের আলোতে বের হলে হ্যাট বা ছাতা ব্যবহার করতে হবে, দুই ঘণ্টা পরপর ত্বকে ৩০-৫০ এসপিএফ সানব্লক লাগাতে হবে। সানস্ক্রিনসমৃদ্ধ কসমেটিকস বা মেকআপ ব্যবহার করা ভালো। এলইডি লাইটের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকেও দূরে থাকতে হবে, স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে।


এছাড়াও মেচতার চিকিৎসায় চিকিৎসকের পরামর্শে নানা ধরনের ক্রিম ও মুখে খাবার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এতে কাজ না হলে কেমিক্যাল পিলিং বা অন্যান্য পদ্ধতিও চেষ্টা করা হয়। মেচতার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং অনেক সময় সুফল পেতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করতে হবে। 


তবে কোনো অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মেচতার জন্য কিছু ব্যবহার করা যাবে না। বাজারে বিভিন্ন ধরণের মেচতার ক্রিম পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এইসব ক্রিম ব্যবহার করে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।  


No comments

Powered by Blogger.