উত্তর লেখার নিয়ম
(১) প্রথমে যে ক'টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মনে মনে প্রত্যেকটির সময় ভাগ করে নিবে। প্রতিটি উত্তর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করবে। এমন যেন না হয় যে, একটি প্রশ্নের উত্তরে দুই ঘন্টা সময় লাগালে। আর দু'টির জন্য এক ঘন্টা বা দেড় ঘন্টা। কারণ একটি প্রশ্ন যতই ভাল করে লেখা হোক পূর্ণমান থেকে বেশী নম্বর পাওয়া যাবে না।
(২) লেখা শুরু হবে সহজ এবং ভালভাবে জানা উত্তরটি দিয়ে। এমন যাতে না হয়, কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সহজটি হারিয়ে বসেছ।
(৩) উত্তরে শিরোনাম (যেমন, ১নং প্রশ্নের উত্তর) লিখবে ঠিক মাঝে । এবং এটাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করবে। যেন পরীক্ষকের দৃষ্টি এটা দেখার ব্যাপারে ভুল না করে। হাতের লেখা খুব বড় বড় বা ফাঁকা ফাঁকা যেন না হয়। আবার তাবিজের মত খুব ছোট অক্ষরে যেন না হয়। বরং মধ্যম ও স্পষ্ট অক্ষরে লিখবে।
(৪) হাতের লেখা সুন্দর ঝরঝরে এবং উপস্থাপনা চমৎকার হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।
(৫) পরীক্ষা একটি আমানত। এ বিষয়টি সব সময় মনে রাখবে। সুতরাং খেয়ানতের কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে না। কেননা খেয়ানত করে কোন দিন সফল হওয়া যায় না। নকল করা থেকে বিরত থাকবে।
(৬) পরীক্ষার হলে কোন কিছু মনে না আসলে বেশী বেশী দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। অস্থির লাগলে কয়েকবার দীর্ঘশ্বাস নিবে। এটা খুব ফলপ্রসু আমল।
(৭) উত্তর লেখার ক্ষেত্রে একটি প্রশ্নের মধ্যে যে কয়টি অংশ থাকে কোনটি যেন বাদ না পড়ে; বরং প্রত্যেকটি লিখবে এবং একসাথে লিখবে। এক প্রশ্নের অংশ বিশেষকে অন্য প্রশ্নের সাথে মেশাবে না।
(৮) উত্তর লেখার ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়া করবে না যে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়। আবার এত ধীর গতিতে লিখবে না যে, সময় শেষ হওয়ার পরও লেখা শেষ হয় না; বরং কমপক্ষে ১৫মি. পূর্বে লেখা শেষ করে ফেলবে এবং অবশ্যই লিখিত বিষয় পুনর্বার দেখবে এবং ঠাণ্ডা মাথায় দেখবে। অন্যথায় সঠিকটাকে ভুল বানিয়ে ফেলবে। লেখা শেষ করে শেষের ১৫ মিনিট খাতাতে ভুল বের করার চেষ্টা করবে। কারণ লেখায় ভুল থেকে যাওয়া স্বাভাবিক।
(৯) পরিক্ষার হলে উপস্থিতির খাতাতে স্বাক্ষর করতে ভুল করবে না। তা না হলে তোমার পরীক্ষা দেয়ার কোন প্রমাণ থাকবে না।
(১০) খাতা জমা দেয়ার সময় মনে করবে যে, আমার যতটুকু করার ছিল আমি করলাম। বাকিটা আল্লাহ তা'আলার হাওলায়।
No comments