বর্ষাকালে পায়ের যত্নে চাই একটুখানি সচেতনতা
বর্ষাকালে ভেজা মাটি, ময়লা এবং আর্দ্রতার কারণে আমাদের শরীরে জ্বর, সর্দি,কাশির মত সমস্যা দেখা যায়। তবে এরমধ্যে অন্যতম হল পায়ে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা। এটি যেমন বিরক্তিজনক, তেমনই স্বাস্থ্যের পক্ষেও কিন্তু হানিকারক। একটু সাবধানতা আপনাকে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
নুন এবং গরম জল
এক বালতি গরম জলে এক চামচ নুন মিশিয়ে তাতে পা রাখুন। অন্তত ১০-১৫ মিনিট একইভাবে রেখে দিন। এটি আপনাকে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দেবে খুব সহজেই।
নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। নিম পাতা জলে সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এতেও আরাম পাবেন। কারণ, নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণ দূর করে এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরাও এমন একটি উদ্ভিদ, যার গুণাগুণ সম্পর্কে অজানা নেই। বর্ষাকালে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে দারুন কার্যকরী একটি উপাদান অ্যালোভেরা। এই সমস্যা হলে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগালে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অ্যালোভেরার শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে প্রশমিত করে।
তুলসী পাতা
হিন্দু ধর্মে তুলসী পাতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পুজোর সময় এই পাতার ব্যবহারের পাশাপাশি বর্ষাকালে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে। তুলসী পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগান। দেখবেন স্বস্তি পাবেন। এই তুলসীতে প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে, যা জ্বালা ও চুলকানি কমায়।
এছাড়াও বর্ষায় সুতির মোজা পরার অভ্যাস করুন। কারণ সুতির মোজা পরলে ঘাম কম হয়। সঙ্গেই এটি আপনার পা পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। এই সহজ ব্যবস্থাগুলি অবলম্বন করে, আপনিও বর্ষাকালে পায়ের চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া এড়াতে পারেন। তবে সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments