বরখাস্ত হলেন ইসলামী ব্যাংকের ৮ শীর্ষ কর্মকর্তা
ইসলামী ব্যাংকের একজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাঁচ উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (ডিএমডি) আট শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের নতুন ঋণ বিতরণে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব ব্যাংকে এলসি খোলার কাজও বন্ধ রাখতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত পৃথক আদেশ ও চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বরাবর ইস্যু করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, বিপুল অর্থ লোপাট এবং নানা অনিয়মে জড়িত থাকার দায়ে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রাথমিকভাবে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকের আট শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত ব্যক্তিরা হলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ, ডিএমডি মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম ও ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া ব্যাংকের প্রধান অর্থ পাচার প্রতিরোধ কর্মকর্তা তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামকেও বরখাস্ত করা হয়।
ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই
উচ্চপদস্থ এসব কর্মকর্তাকে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য কমিটি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ পেয়ে ব্যাংকটির পক্ষ থেকেও এ-সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ইস্যু করা হয়েছে।
এদিকে একই দিন এস আলম গ্রুপের ছয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সীমা নির্ধারণ ও এলসি খোলা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব ব্যাংকের পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও সীমাতিরিক্ত ঋণ আছে, তা নগদ আদায় ছাড়া নবায়ন করা যাবে না।
No comments