বৃষ্টির দিনে পরতে পারেন যেসব আরামদায়ক জুতা
বাংলাদেশে এখন ভরা বর্ষা। আর বর্ষাকাল মানেই যখন-তখন বৃষ্টি। সাদা মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশে যেকোনো সময় অন্ধকার নেমে আসতে পারে ঝুম বৃষ্টি। বাহিরে থাকলে অনেকে এ সময় জুতা নিয়ে খুব চিন্তিত হন।
জুতা ভিজে গেলেই যে বিপদ। তবে এ সময়ে পায়ে যদি থাকে সুন্দর ফ্যাশনেবল জুতা, তাহলে কেমন হবে। ভাবতেই কেমন এটা অনুভূতি হচ্ছে তাই না?
বর্ষায় চামড়ার জুতা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ র্যাক্সিন বা চামড়ার জুতা ভিজলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়া এতে পায়ের ত্বকেরও ক্ষতি হয়। বৃষ্টির দিনে তাই প্লাস্টিক বা পানিনিরোধক স্যান্ডেল বা জুতা বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। চলুন জেনে নিই বর্ষার দিনে যেসব জুতায় মিলবে আরাম। খ
বর্ষায় পরতে পারেন যেসব জুতা
১. বর্ষার দিনে স্লাইডার জুতা বেশ মানানসই। ভিজে গেলেও খুব একটা ক্ষতি হয় না। এ জুতা জিনস, টপস বা অন্যান্য পোশাকের সঙ্গেও বেশ মানায়।
২. বৃষ্টির দিনের জন্য পছন্দ করতে পারেন ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল। ওয়াই আকৃতির স্ট্র্যাপসহ স্যান্ডেলই হচ্ছে ফ্লিপ ফ্লপ। এগুলো ঝটপট পরে বের হয়ে যাওয়া যায়। কাদা পানি লাগলেও সহজে পরিষ্কার করা যায়।
৩. পা ঢাকা ক্রক্স জুতা পরতে পারেন বৃষ্টির দিনে। ক্রক্স জুতার নকশায় ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, ফলে পা ভিজে গেলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়। ছত্রাক সংক্রমণের ভয়ও থাকে না।
৪. বর্ষার জুতা হিসেবে রাবার বা প্লাস্টিকের স্যান্ডেল বেছে নিতে পারেন। প্লাস্টিকের ব্যালেরিনা সু হতে পারে চমৎকার বিকল্প। এগুলো সহজে পিছলে যায় না। আবার ধুয়ে ফাইল শুকিয়ে যায় দ্রুত।
৫. স্নিকার্সেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারেন। এ ধরনের জুতা বেশ আরামদায়ক। পিছলে যাওয়ার ঝুঁকিও কম। তবে ভিজে গেলে শুকাতে সময় বেশি নেয় স্নিকার্স।
৬. কাপড়ের জুতাও বর্ষার জন্য ভালো। কাদাপানি লেগে গেলেও শুকাতে খুব একটা সময় নেয় না। তবে এই ধরনের জুতা কাদা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ঘষবেন না। এতে দাগ বসে যাবে। শুকিয়ে গেলে টিস্যু দিয়ে উঠিয়ে এরপর ধুয়ে নিন।
বর্ষায় এড়িয়ে চলবেন যেসব জুতা
বর্ষার সময় পেন্সিল হিল, বড় হিল, স্যান্ডেল, চপ্পল ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ শহরের রাস্তাগুলোতে পানি জমে একাকার হয়ে যায়। কখনো হাঁটুপানি তো কখনো কোমরপানি। পানির জন্য রাস্তাঘাটও ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় গর্তের। তাই পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।
No comments