দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলছে মোবাইল আসক্তি, সমাধান যেভাবে
বর্তমান ডিজিটাল দুনিয়ায় মোবাইল ছাড়া জীবন চলা অসম্ভব। তবে এর ব্যবহারেও পরিমিতি দরকার। কেননা, এই মোবাইলের দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে মুখোমুখি আলাপ ও আড্ডার অবসর। যার কারণে মানুষে মানুষে সেই আগেরকার মতো মায়া-মহব্বত দিন দিন কমছে। একসঙ্গে বসলে, সময় দিলে, কথা বললে একে-অপরের মধ্যে সম্পর্ক পোক্ত হওয়ার পাশাপাশি শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে। কিন্তু সেটি না করে আজকাল আমরা মোবাইলের মাধ্যমেই সেরে ফেলছি। সবকিছু মোবাইলকেন্দ্রিক হওয়ায় পরিবার, আত্মীয়স্বজন এমনকি সঙ্গীর সঙ্গেও সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হয়। মোবাইলের আসক্তির কারণে দাম্পত্য জীবনেও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া অত্যধিক মোবাইল ব্যবহার, মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবনযাপনের চেষ্টা করা উচিত। আর এর চাবিকাঠি সবার হাতেই। আসুন জেনে নেই, কিভাবে ডিজিটাল দুনিয়া মোবাইলের প্রভাব থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখবেন-
নিজেকে নিয়ে ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন
ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। ভাবার সময় বের করতে হবে সবার আগে। মোবাইল দূরে সরিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন ভাবনা-চিন্তার পরিসর অনেক বেড়েছে।
কখন কী করবেন সময় ঠিক করুন
কতক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন- তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমানোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরনো শখগুলো নিয়ে আবার ভাবুন।
মোবাইলে থাকা অ্যাপস ছাঁটাই
দরকারি অ্যাপস ছাড়া বাকি অ্যাপসগুলো ফোনে না রাখাই ভালো। এরপর দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছা করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে।
বন্ধু খুঁজুন
এই সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনো সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে আপনার সঙ্গীই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনো সদস্যও হতে পারেন। তার সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।
মোবাইল ফোন ছাড়া ঘুরতে যান
এখন মোবাইল ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বেরোলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে বের হয়ে গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই ফোন বন্ধ করে দিন। ওই কয়েকটা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।
No comments