Adsterra

বর্ষায় ঘন ঘন ডায়রিয়া? সমাধান যেভাবে

বর্ষায় ঘন ঘন ডায়রিয়া, সমাধান যেভাবে, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News, bangla new

বর্ষায় বার বার বৃষ্টি এবং রাস্তা-ঘাটে পানি আর কাদা জমে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। আর এসব জীবাণু অনেক সময় অন্ত্রের ওপর হামলা চালায়। তখন দেখা দেয় ডায়রিয়া।


যার কারণে বর্ষায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা না মেনে চললে বার বার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে অনেকেই দেখা যায় বর্ষায় একটু অসুস্থতা দেখা দিলেই হুট করে ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করে দেন। তবে যেকোনো অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খাওয়া ভালো।


তবে ওষুধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যেগুলো অনুসরণ করলে ওষুধ না খেয়েই বার বার ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এখানে দেওয়া হল পদ্ধতিগুলো।


পর্যাপ্ত পানি পান

ডায়রিয়ার সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে বর্ষার সময় পানিতেই বেশি ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থাকে বিধায় চেষ্টা করুন পানি ফুটিয়ে বা জীবাণুমুক্ত করে পান করার। এতে করে পানির মাধ্যমে নতুন করে শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। যার ফলে ডায়ারিয়ার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকবে না বললেই চলে।


ডাবের পানি পান

ডায়রিয়ার মহৌষধি হল ডাবের পানি। এই পানীয় খেলে দেহে ইলোকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফেরানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, এই পানীয়ের গুণে শরীরে দ্রুত এনার্জি আসে। তাই ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।


বেশি করে স্যালাইন খান

ডায়রিয়া হলে স্যালাইনের পানির বিকল্প নেই। প্রয়োজনীয় পরিমাণ স্যালাইন শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে এবং ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখে। স্যালাইন দেহের লবণ পানি যোগান করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, সিটি হেলথ সার্ভিসেস, মোহাম্মদপুর, Dr Abida Sultana, health, fitness,

                                                ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই

বেশি করে ভাত খান

ডায়রিয়া অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ভারী খাবার না খাওয়াই শ্রেয়। তবে সমস্যা একটু কমলে অবশ্যই ভারী খাবার খেতে হবে। তাহলেই ধীরে ধীরে শক্ত হবে মল। কমবে ডায়রিয়ার প্রকোপ।


তবে ডায়রিয়ার সময় অনায়াসে ভরসা রাখতে পারেন ভাতের ওপর। কারণ এই খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্ব থাকে। যার ফলে এনার্জি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ভাত খুব সহজপাচ্য হওয়ায় পেটের সমস্যা বাড়ার আশঙ্কাও থাকে না। তাই এই সময় সামান্য পরিমাণে হলেও ভাত খান। তাতেই উপকার পাবেন।


দইও উপকারী

ডায়রিয়াতে অন্ত্রে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। তাই এই সময় এমন খাবার খেতে হবে, যাতে এই ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ানো যায়। আর টক দইতে রয়েছে প্রোবায়োটিকের ভান্ডার। তাই এই খাবার খেলেই অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। ফলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হয়। তাই চেষ্টা করুন ডায়রিয়ার সময় টক দই খাওয়ার।



ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.