Adsterra

মুখের লালা পরীক্ষাতেই ধরা পড়বে স্তন ক্যান্সার

মুখের লালা পরীক্ষাতেই ধরা পড়বে স্তন ক্যান্সার, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News, bangla news

দেশে প্রতিবছর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যাটা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। মূলত নারীদের মধ্যেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হলেও পুরুষরাও ঝুঁকির বাইরে নন। ক্যান্সারের ডায়াগনসিস অনেক সময়েই এত দেরিতে হয় যে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্তন ক্যান্সারের এমন বৃদ্ধি কেন হচ্ছে তার আসল কারণ জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।


ক্যান্সার চিহ্নিত করতে এখন আর জটিল পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার নেই। এবার মুখ থেকে নেওয়া লালার নমুনা পরীক্ষা করলেই নাকি ধরা পড়বে স্তনে টিউমার কোষের বৃদ্ধি হচ্ছে কি না। বিশ্বে প্রথম ক্যান্সার ডায়াগনসিসে এমন যুগান্তকারী আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা।

ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটি ও তাইওয়ানের ন্যাশনাল ইয়াং মিং চিয়াও তাং ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা স্তন ক্যান্সার টেস্ট করতে নতুন রকম স্ক্রিনিং ডিভাইস তৈরি করেছেন।


মুখের লালার নমুনা থেকে ক্যান্সার কোষের প্রোটিন চিহ্নিত করবে এই ডিভাইস। এর মাধ্যমেই ধরা পড়বে স্তন বা তার আশপাশে অবাঞ্ছিত টিউমার কোষ গজাচ্ছে কি না। লালার নমুনা থেকে যেভাবে ক্যান্সার চিহ্নিত করা যাবে


‘ভ্যাকুউম  সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বি’ সায়েন্স জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ গবেষণার কথা জানা গেছে। প্রধান গবেষক সিয়াও হুয়ান আন জানিয়েছেন, স্তন ক্যান্সার হলে HER2 ও CA 15-3 নামের দুই প্রোটিন বৃদ্ধি পায়।

লালার নমুনা থেকে ওই দুই প্রোটিনকে চিহ্নিত করবে ডিভাইসের বায়োসেন্সর। ওই দুই প্রোটিন ক্যান্সার কোষকে দ্রুত বিভাজিত করে। প্রোটিন দুটির মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ক্যান্সার খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ডিভাইসটি খুবই ছোট। যে কেউ এই ডিভাইস দিয়ে নিজের লালার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, সিটি হেলথ সার্ভিসেস, মোহাম্মদপুর, Dr Abida Sultana, health, fitness,

                                                ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই


ডিভাইসে লাগানো আছে পেপার স্ট্রিপ। এর সঙ্গে বায়োসেন্সরও লাগানো আছে। পেপার স্ট্রিপে মুখ থেকে নেওয়া লালার নমুনা দিলেই স্ট্রিপের বায়োমার্কার ওই দুই প্রোটিনের সন্ধান শুরু করবে। যদি ক্যান্সার বাসা বাঁধে বা টিউমার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়, তাহলে শরীর তাকে রুখতে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। ক্যান্সার কোষের প্রোটিনদের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে তাদের নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করবে শরীরের অ্যান্টিবডি। বায়োমার্কার এই প্রোটিন ও অ্যান্টিবডিগুলোকেই চিহ্নিত করে বলে দিতে পারবে ক্যান্সার কোষের জন্ম হয়েছে কি না। যদি ক্যান্সার প্রোটিন চিহ্নিত হয় তাহলে ডিভাইসটি সিগন্যাল দিয়ে তা জানিয়ে দেবে।

গবেষকরা বলছেন, ক্যান্সার চিহ্নিত করাটাই আসল কাজ। সঠিক সময় ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসায় রোগ সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ডায়াগনসিসেই এত দেরি হয়ে যায় যে ক্যান্সার কোষগুলো বাড়তে বাড়তে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। তখন আর কিছু করার থাকে না। যদি আগে থেকেই রোগের কারণ ধরা যায় তাহলে ক্যান্সার নির্মূল করার চেষ্টা করতে পারেন চিকিৎসক-গবেষকরা। স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও সেই কারণটাই জানার চেষ্টা চলছিল এতদিন। ঠিক কী কারণে ক্যান্সার কোষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সেই কারণটা জানা দরকার ছিল।

 

গবেষকরা ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে এই দুই প্রোটিনের খোঁজ মিলেছে, যেগুলো স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এবার মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।


No comments

Powered by Blogger.