Adsterra

পরিবারকে সুখী করার টিপস

পরিবারকে সুখী করার টিপস, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News, bangla news

পরিবারকে শান্তিপূর্ণ করার জন্যে আমরা যদি কিছু কাজ করি আমাদের পরিবার খুব শান্তিপূর্ণ হবে। তবে প্রধান যে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সেগুলো হল, সমমর্মিতা, সমঝোতা এবং সম্মান!


সমমর্মিতা :

পরিবারের ভিত্তি হচ্ছে সমমর্মিতা, সমঝোতা এবং সম্মান। পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকতে হবে। এই সম্মানটা বড়র প্রতি শ্রদ্ধা, ছোটর প্রতি ভালবাসা। ছোটর প্রতি সম্মান হচ্ছে তার প্রতি মমতা এবং তাকে স্নেহ করা।


সমঝোতা : 

সমঝোতা, অর্থাৎ পরস্পর আন্ডারস্ট্যান্ডিং। আচ্ছা বকা দিয়েছে। আমার ভাইই তো বকা দিয়েছে। অন্য কেউ তো বকে নাই। আচ্ছা বকা দিয়েছে। বকাবকি করছে। আমার স্ত্রী-ই তো বকাবকি করছে, অন্যের স্ত্রী এসে তো বকাবকি করছে না। আরে আপনার স্বামীই তো বকাবকি করছে, আরেকজনের স্বামী এসে তো বকাবকি করছে না। এটাই সমঝোতা। 

বিষয়টা এমন, একটু অপেক্ষা করেন না। এখনই জবাব দিতে হবে, এমন তো নয়! দরকার নেই তো তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়ার। 

স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, সন্তান-মাতাপিতা এই সম্পর্ক তো একদিনের না। ঠিক আছে, মনে মনে বলেন ‘বকছো বকো, আমারও সময় আসবে। 

মনে রাখতে হবে এক হাতে কখনো তালি বাজে না। তালি বাজার জন্যে দুই হাত লাগে। তো একহাত  বন্ধ থাকলে দেখবেন অটোমেটিক অপর হাত বন্ধ থাকবে।  



সম্মান : 

সম্মান বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্মান এমন নয় যে গুরুজন হলেই করতে হবে। বড়রাও ছোটদের সম্মান করতে পারে। ভাই-বোন ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও সম্মান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান একে অপরের সসম্পর্ককে মজবুত করে। 


সমঝোতা সমমর্মিতা ও সম্মান, এই তিনটা জিনিস যখন একত্র হয়, তখন পরিবার সুখের হয় এবং পরিবারের শান্তি থাকে। পরিবার অস্থির না, পরিবার তখন স্থির হয়। 


এই সমঝোতা, এই সম্মান সবাই চায়। বড় যেরকম চায় ছোটও একইরকম চায়। একজন একটা ভুল করে ফেলেছে, ঠিক আছে! তাকে সংশোধন করে নিতে সময় ও সুযোগ দিন। 


আর পরিবারের সবার প্রতি যত অল্প সময় হোক মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। যখন বাসায় যাবেন বাসার প্রতি মনোযোগ দেবেন। স্ত্রীর প্রতি মনোযোগ দেবেন, স্বামীর প্রতি মনোযোগ দেবেন, সন্তানের প্রতি মনোযোগ দেবেন।

টিভি, স্মার্টফোন, বোকা বাক্সে নয়, তার আগে মনোযোগ দিন পরিবারে, পরিবারের সদস্যদের প্রতি। 

সন্তানকে পরিবারের অংশ হিসেবে বড় করবেন। তার বয়স যা হবে, সেই বয়সে সে যে কাজটা করতে পারে সেই কাজটা তাকে করতে দেবেন। যেমন জাপানিজরা, তাদের ছোট বাচ্চাদেরকেও পরিবারের কাজ দেয়। এতে কিন্তু ছোটবেলা থেকেই শিশুটি শেখে কিভাবে নিজের কাত নিজে করতে হয়, কিভাবে দায়িত্ব নিতে হয়। 

একই পরিবারে থাকলে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। এমন পরিস্থিতিতে সরাসরি কথা বলুন। যখনই কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়, সরাসরি কথা বলুন। 

 কিন্তু মনে রাখতে হবে যে সেই আপনার ভাই, সেই আপনার বোন। বিপদে তারাই এগিয়ে আসবে সবার আগে। 

সবসময় মনে রাখবেন, যে সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না, সেই সম্পর্কের মাঝখানে কখনো দেয়াল তুলবেন না। মমতার সেতুবন্ধন তৈরি করবেন, ক্ষমা করে দেবেন। এবং আপনি যত ক্ষমা করতে পারবেন, আপনি তত সুখী হবেন।


যে কারণে মহামানবরা সবসময় ক্ষমা করেছেন। কেন? তারা এই রহস্যটা জানতেন। যে অন্তরে ক্ষমা আছে, সেই অন্তরে কৃতজ্ঞতা আছে, সেই অন্তরে প্রশান্তি আছে।


কারণ আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমাশীল না হচ্ছেন, কৃতজ্ঞ না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার অন্তরে প্রশান্তি আসবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত শোকর গোজার না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত অন্তরে প্রশান্তি আসবে না।


অতএব পারিবারিক শান্তির জন্যে, সমাজে শান্তির জন্যে সবসময় ইতিবাচক কথা বলবেন, কৃতজ্ঞতার কথা বলবেন।

No comments

Powered by Blogger.