Adsterra

সন্তানকে ব্রেস্টফিডিং করাচ্ছেন? ভুলেও যা খাবেন না

সন্তানকে ব্রেস্টফিডিং করাচ্ছেন,  ভুলেও যা খাবেন না, ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Today Trending News, Today Viral News, Top News, Hot News, bangla news

নতুন মায়েরা অনেক কিছুই ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। মা হওয়ার পর কোন খাবার খাবেন এবং কোন খাবার খাবেন না তাও অনেকে জানেন না। আর এ কারণে তারা এমন খাবার খেয়ে ফেলেন, যা খেলে সন্তান ঠিকঠাক দুধ পায় না। আর সন্তান বুকের দুধ না পেলে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হয়। এ কারণে তারা দ্রুত অসুস্থ হয়ে যায়। 



ব্রেস্টফিডিং-এর সময় যেসব খাবার খাবেন না 

পারদসমৃদ্ধ মাছ

মাছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় মাছ থেকে। তাই ডেলিভারির পর মাছ খেতেই হবে। তবে ভুলেও পারদসমৃদ্ধ মাছ যেমন টুনা, মার্লিন, শর্ডফিশ খাবেন না। ব্রেস্টফিডিং-এর সময় এ ধরনের মাছ খেলে উপকার পাবেন না। বরং শিশুর শরীরে পারদ পৌঁছে যাবে। এতে শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধি আটকে যেতে পারে। 


অতিরিক্ত ক্যাফেইন

অনেকেই চা-কফি ভালোবাসেন। তাতে ক্ষতি নেই। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে মা কফি বেশি পান করলে তা সন্তানের শরীরেও পৌঁছাবে। এতে সন্তান রাতে ঘুমাবে না। এমনকি তার পেটের সমস্যাও হতে পারে। তাই কফির বদলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। 


প্রসেসড ফুড

ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় যতটা সম্ভব প্রসেসড ফুড থেকে দূরে থাকুন। কেননা এই ধরনের খাবারে বেশি ক্যালোরি থাকে। প্রচুর রাসায়নিক, ফ্যাট ইত্যাদিও মেশানো থাকে। তাই ব্রেস্টফিডিং-এর সময় প্রসেসড ফুড খাবেন না। 

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য

              ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য


মদ্যপান এড়িয়ে চলুন

মদ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। নতুন মায়েরা ভুলেও মদ খাবেন না। খেলে আপনার সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। 


কী খাবেন, কী করবেন? 

ব্রেস্টফিডিং-এর সময় প্রচুর পরিমাণে শাক, সবজি ও ফল খাবেন। প্রতিদিন নিয়ম মেনে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। তাহলে আপনার সন্তান সুস্থ থাকবে। সুস্থ থাকবেন আপনিও।



ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।


No comments

Powered by Blogger.