শিশুর হিস্টিরিয়া রোগ
হিস্টিরিয়া সম্পর্কে যা জানা যায়
আমাদের দেশে শিশু ও নারীরা তাদের কষ্ট, মনের ব্যথা অন্যদের কাছে অনেক ক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে না। তখন শিশু এসব মর্মযাতনা শারীরিক উপসর্গে সাজিয়ে সে প্রকাশ করে। এভাবে শিশু তার সাইকোলজিক্যাল যন্ত্রণা লাঘবের একটা পথ খুঁজে নেয়। দ্বিতীয়ত, এসব উপসর্গের কারণে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে। দৈনন্দিন দায়িত্ব পালন করে না। কারণ এতে সে কাছের মানুষের কাছে নানা ধরনের সহানুভূতি লাভ করে।
লক্ষণ
♦ অদ্ভুত রকমের হাঁটাচলা।
♦ মেকি ফিট।
♦ কাজকর্মের সময় হাতে-পায়ে অবশভাব, অক্ষমতা।
♦ কথা বলতে অসুবিধা, ভাঙা স্বর।
♦ চোখে দেখতে না পারা।
♦ কখনো কখনো স্মৃতিশক্তি লোপ বা বুদ্ধিস্তর কমে যাওয়া।
♦ কখনো বা পরিচিত জায়গা ছেড়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে উদাসীনের মতো মাইল দূরে চলে যাওয়া।
♦ শিশুর হাত-পা পক্ষাঘাতগ্রস্তের মতো দেখালেও শারীরিক পরীক্ষায় দেখা যায় তার স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ আছে, অন্ধ সেজে থাকলেও পরীক্ষায় বোঝা যায় তার চোখের মণির সব রিফ্লেক্স স্বাভাবিক।
ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা
শিশুর সম্পূর্ণ শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরীক্ষা। শারীরিক পরীক্ষায় কোনো রোগের প্রমাণ না মিললে অযথা পরীক্ষা না করানো।
শিশুর হিস্টিরিয়ার উৎপত্তির কারণগুলো সহজভাবে শিশুকে ব্যাখ্যা করা। আরোগ্যলাভের নিশ্চয়তা দান। শিশুর সঙ্গে বিরোধ সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য।
ওষুধের চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
রোগ প্রতিরোধ
অধুনা লাইফস্টাইলের কারণে শিশুর সাইকোসোশ্যাল সমস্যার হার বাড়তির দিকে। মা-বাবা, অন্যান্য ভাই-বোন, স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা, চারপাশের সংস্কৃতি, বংশগতির ধারা তার মনের ওপর প্রতি মুহূর্তে আলো-ছায়ার মতো খেলে। শিশুর মধ্যে কোনো মানসিক সংকট চিহ্নিত হলে অযথা অবৈজ্ঞানিক অপচিকিৎসায় সময় নষ্ট না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।
No comments