Adsterra

অফিসে অপেশাদার আচরণ থেকে বিরত থাকুন

অফিসে অপেশাদার আচরণ থেকে বিরত থাকুন,ঢাকা ভয়েস, Dhaka Voice, Trending News, Viral News, Top News, Hot News, bangla news, bangladesh news

প্রত্যেক অফিসের কিছু আলাদা আলাদা নিয়মকানুন থাকে। কাজ করার পাশাপাশি তা মেনে চলাও জরুরি। দিনের সিংহভাগ সময়ই অফিসে কাটে। তাই মন দিয়ে কাজ করার পাশাপাশি কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। বাড়িতে যে কাজগুলি অনায়াসে করা যায়, অফিসে তা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।


জেনে নিন কোন কাজগুলো অফিসে করবেন না-


অফিসে দেরিতে প্রবেশ

প্রত্যেক কর্মীর জন্যেই অফিসে ঢোকার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া থাকে। সেটা মেনে চলা জরুরি। সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পিছনে অনেক পরিকল্পনা থাকে। দেরি করে এলে পরিকল্পনামাফিক কাজ এগোয় না। তাই সময়ে অফিস আসা জরুরি।


ডেস্ক অগোছালো রাখা 

নিজের ঘরের মতো অফিসের ডেস্কটিও সবসময় অগোছালো রাখছেন? টেবিলের সর্বত্র সবসময় কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখাটা ভালো দেখায় না। এতে আপনার সম্পর্কে সহকর্মীরা ভিন্ন বার্তা পাবে। টেবিল যতটা সম্ভব নিজে গুছিয়ে রাখুন, প্রয়োজনে নিজের পছন্দমতো কোনো সৌন্দর্য উপকরণ ব্যবহার করুন। এতে মনে হবে আপনি আপনার কাজকে গুরুত্ব দেন। আপনার প্রায়ই অফিসে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হতে পারে। তাই নিজের ডেস্কটি এমনভাবে রাখুন, যাতে আপনি সেখানে বসাটা উপভোগ করতে পারেন।


ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ফোনালাপ

ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার কথা অফিসে বসে ফোনে বলবেন না। অফিসে বসে ফোনে কথা বললেও স্বর যেন নীচু হয়। উত্তেজিত হয়ে কথা বললে অফিসের পরিবেশ নষ্ট হয়। তা ছাড়া জীবনে কী চলছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলাও উচিত নয়।


সহকর্মী সম্পর্কে অভিযোগ

একই বিষয়ে সকলেই একমত পোষণ না ও করতে পারে। তাতে সহকর্মীর সঙ্গে মতান্তর, কাজ নিয়ে অসন্তোষ থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে সারা ক্ষণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালে আপনার প্রতি খারাপ ধারণা জন্মাতে পারে। সমস্যা হলেও নিজেই সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। একান্ত না পারলে তখন অফিস সিনিয়র কিংবা কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিন।

ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, সিটি হেলথ সার্ভিসেস, মোহাম্মদপুর, Dr Abida Sultana, health, fitness,

                                                ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই


অতিরিক্ত সমাজমাধ্যম ব্যবহার

সমাজমাধ্যমে কী ঘটে চলেছে, কাজের মাঝে সারা ক্ষণ সেদিকে নজর রাখা উচিত নয়। তাতে যেমন মনঃসংযোগ নষ্ট হয় তেমনি কাজের ক্ষতি এবং সময়ও নষ্ট হয়। তবে টিফিনে কিংবা কিছু ক্ষণের জন্য বিরতি নিলে তখন ব্যবহার করতে পারেন।


একে অপরের দোষ দেওয়া

কিছু সমস্যা হলেই অন্যকে দোষ দেওয়ার অভ্যাস যেন অফিসে প্রতিফলিত না হয়। কিছু হলেই সারা ক্ষণ সহকর্মীর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। যদি সত্যি দোষ থেকেও থাকে সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।


একটু পর পর ফোন চেক করা

প্রতিবার ফোনে নোটিফিকেশন আসলেই ফোন চেক করাটা প্রমাণ করে আপনি কাজের প্রতি মনোযোগী নন। কোনো মিটিংয়ে থাকলেও ফোন বারবার চেক করা উচিত না, কারণ এতে উপস্থিত অন্যরা বিরক্ত হন। আপনার মনে হতে পারে আপনি একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারেন, কিন্তু আসলে এতে মনোযোগের অনেক ব্যাঘাত ঘটে।

সহকর্মীদের সামনে এ কাজ করাটা তাদের প্রতি রূঢ় আচরণের শামিল, একইসঙ্গে অপেশাদারও। কারণ আপনার সহকর্মীরা কিন্তু জানতে পারছেন না আপনি কি অফিসের কোনো কাজের ইমেইল চেক করছেন নাকি ব্যক্তিগত কোনো কথোপকথন চালাচ্ছেন।


No comments

Powered by Blogger.