অতিরিক্ত ক্লান্তি, অনিয়মিত ঋতুস্রাব যেসব রোগের সংকেত দেয়
সংসার, অফিস সামলে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার সময় পান না অধিকাংশ নারী। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ, ঝিমুনি হলে তা শুধুমাত্র পরিশ্রমের কারণে হচ্ছে বলে এড়িয়ে যান অনেকেই। আবার ঘন ঘন মূত্রনালির সংক্রমণ, অনিয়মিত ঋতুস্রাবকেও লজ্জা ও সঙ্কোচের কারণে আড়াল করেন। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে সচেতন হওয়া উচিত। রাতে দরদর করে ঘাম, বুকে ব্যথা বা পা ফুলে যাওয়া এসব লক্ষণও বিভিন্ন রোগের সংকেত দেয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে হতে পারে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ কিংবা অন্য কোনো জটিল অসুখ। কমবয়সী নারীদের মধ্যেও অনেক রোগ বাসা বাঁধছে। কোনো অসুখ দেখা দিলে প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া উচিত। এজন্য কিছু লক্ষণ দেখা মাত্রই সতর্ক হতে হবে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে যেভাবে বুঝবেন
• রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে বার বার পানি পান করেও তৃষ্ণা মিটবে না। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসবে। অনেক নারীই এই সমস্যায় ভোগেন। তাই সতর্ক থাকুন।
• মূত্রনালির সংক্রমণ বার বার ভোগাবে। প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা, চুলকানি, ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণও হতে পারে।
• রক্তে শর্করা বাড়তে শুরু করলে জরায়ুতে ছোট ছোট সিস্ট হতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গালে, গলায় অবাঞ্ছিত রোম, হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, অবসাদ এমনকি জরায়ুর উর্বরতাও কমে যেতে পারে।
• ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে যাবে। বিশেষ করে কমবয়সী নারীদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলে ঋতুচক্রে বড় পরিবর্তন আসবে।
• শর্করার পরিমাণ বাড়লে অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ হবে। যদি পরিশ্রম না-ও করেন, তা হলেও দেখবেন সবসময় ক্লান্ত লাগছে। শরীর দুর্বল লাগছে।
• দীর্ঘ দিন রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই একই সমস্যা হতে পারে। তবে নারীদের এই লক্ষণ আগে দেখা দেয়।
• অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস হার্টের রোগের কারণ হতে পারে। হৃদ্পেশি শক্ত হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে। ফলে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। হার্টে ঠিকমতো রক্ত ও অক্সিজেনের প্রবাহ হয় না। তখন বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় ‘কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’। ডায়াবেটিসের রোগীদেরই এই রোগ বেশি হয়।
• শরীরে অসুখ বাসা বাঁধলে ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে কিংবা কমে যেতে পারে। হরমোনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
No comments