ফার্মাকোলজিতে সফল নারীরা
ওষুধ উৎপাদন এবং ঔষধ প্রশাসনের সঙ্গে নারীদের চলাফেরার শুরু উনিশ শতক থেকে। এখন চিকিৎসক থেকে শুরু করে ফার্মাসিস্ট—সব ক্ষেত্রেই রয়েছে নারীদের বিচরণ।
১৮৬৮ সালে যুক্তরাজ্যের ফার্মাসি আইনে ফার্মাসিস্ট ও ড্রাগিস্টদের ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি অব গ্রেট ব্রিটেনের সঙ্গে কাজ করার জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ১৮৬৯ সালে ২২৩ জন নারী প্রথম সেই বাধ্যতামূলক নিবন্ধন করেছিলেন।
তাঁরা ১৮৬৮ সাল থেকেই এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তবে শিক্ষার সীমিত সুযোগ থাকায় তাঁরা তাঁদের পিতা বা স্বামীর ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্তির পর নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশি সোসাইটির পরীক্ষা দিতে শুরু করেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা পুরস্কার বা ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি অব গ্রেট ব্রিটেনের রাসায়নিক গবেষণাগারে কাজ করার সুযোগ পেতেন না।
যুক্তরাজ্যের ফ্রান্সিস এলিজাবেথ ডেকন ছিলেন প্রথম নারী, যিনি ১৮৬৯ সালে ফার্মাসি অনুশীলনের জন্য পরিকল্পিত পরিবর্তিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আর রসায়নবিদ এবং ড্রাগিস্ট হিসেবে যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম নারী ছিলেন অ্যালিস ভিকারি। যিনি পাঁচ বছর পরে সোসাইটির মাইনর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। আর ডাচদের মধ্যে প্রথম নারী ফার্মাকোলজিস্ট নেদারল্যান্ডসের শার্লট জ্যাকবস।
No comments