রোজ লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করবেন যেসব কারণে
করোনাকালের কথা মনে আছে? সেসময় লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করেছেন নিশ্চয়ই। এই উপায়ে তখন ভরসা রাখছেন অসংখ্য মানুষ। তবে কোভিডের পর এই দাওয়াইয়ের কথা ভুলে গেছেন বেশিরভাগ মানুষ। অনেক বাড়িতেই গলা ব্যথায় স্বস্তি পেতে লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করা হয়। তবে এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে এই দাওয়াই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ঠান্ডা সর্দির সমস্যা না হলেও কেন রোজ অন্তত একবার লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করা উচিত, চলুন জেনে নিই-
শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
বর্ষাকালে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ে। এসময় গলার ভেতর থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলোর কারণে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে নষ্ট হয় পিএইচের ভারসাম্য। এসব সমস্যা লবণ-পানিতে কুলকুচি করার মাধ্যমে আটকানো সম্ভব। এভাবে গার্গল করলে শরীরে অ্যাসিডের প্রভাব কমতে থাকে। ফলে পিএইচ ভারসাম্য ঠিক হয়। আর এতেই গলায় উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
ফুসফুসের সংক্রমণ দূর করে
কেবল মরসুম বদলের সময়েই নয়, দূষণের কারণেও ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে থাকে। দিনে তিন থেকে চার বার লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করলেই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সেসঙ্গে নানা ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ফুসফুসের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
টনসিলের যন্ত্রণা কমায়
মাঝেমাঝেই কি টনসিলের যন্ত্রণায় কষ্ট পান? তাহলে নিয়মিত লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস করুন। ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাল সংক্রমণের কারণেই টনসিলে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যা থেকে যন্ত্রণা শুরু হয়। লবণ-পানিতে কুলকুচি করলে জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়। ফলে টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
মূলত দুটো কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। মুখগহ্বরে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আর শরীরে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে এমন সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই দুই ক্ষেত্রেই ঈষদুষ্ণ লবণ-পানিতে কুলকুচি দারুণ কাজ করে।
দাঁতের ক্ষয় রোধ করে
লবণ পানিতে নিয়মিত কুলকুচি করলে দাঁতের ক্ষয় রোধ হয়। লবণে বেশ কিছু খনিজ থাকে, যা দাঁতের জন্য উপকারী। সেসঙ্গে দাঁতের একেবারে ওপরের স্তর, এনামেলের ক্ষতিও রোধ করে। দাঁতে ব্যথা হলে লবণ-পানিতে গার্গল করলে আরাম পাওয়া যায়।
No comments